ছন্দে না থাকায় প্রথম টেস্টে মোস্তাফিজুর রহমানকে খেলায়নি বাংলাদেশ। তবে ইডেন গার্ডেন্সের গতিময় পিচ ও গোলাপি বল তার প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হতে পারে। সুযোগ পেলে গঙ্গার দিক থেকে ধেয়ে আসা হাওয়া এবং ঘাসে ভরা উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে হবে তাকে। অন্যথায় ব্যর্থ হলে, এ ম্যাচেও বল হাতে ঝড় তুলতে না পারলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
এ লক্ষ্যে জোর কদমে প্রস্তুতি সেরেছেন মোস্তাফিজুর। বুধবার নেটে দীর্ঘক্ষণ ঘাম ঝরিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েক ওভার বল করেছেন কাটার মাস্টার। অনুশীলন করেছেন আল-আমিন হোসেনও। নেটে ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে তাকে। তার বিপক্ষে একাধিকবার পরাস্ত হন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সমস্যায় পড়েন মুশফিকুর রহিমও। সূত্রের খবর, ঐতিহাসিক ম্যাচে ফিজের সঙ্গে আল আমিনকেও খেলানো হতে পারে। প্রথম টেস্টে খেলেননি তিনিও। তৃতীয় পেসার থাকবেন আবু জায়েদ রাহী।
ইন্দোর টেস্টে দুই পেসারের সঙ্গে দুজন স্পিনার খেলায় বাংলাদেশ। তিন দিনেই সেই টেস্ট ইনিংস ও ১৩০ রানে হারে তারা। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে টাইগাররা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে- দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও কি দুই স্পিনারে ভরসা রাখবে বাংলাদেশ? না কি তিন পেসার, এক স্পিনার ও একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলবেন মুমিনুলরা?
বাংলাদেশ স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বলেন, দল নির্বাচনের দায়িত্ব হেড কোচ ও অধিনায়কের। তবে গোলাপি বলেও স্পিনাররা সাহায্য পেতে পারে। যেকোনো ম্যাচেই কোনো না কোনো সময় স্পিনারদের কাজে লাগে। দিনরাতের টেস্টেও তাদের এর বাইরে রাখা যাবে না।