দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪১ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে তারা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আফগানদের জয়ের নায়ক করিম জানাত। ব্যাটিংয়ে তিনে নেমে খেলেন ১৮ বলে ২৬ রানের ক্যামিও। এরপর বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় শিকার করেন ৫ উইকেট।
২১ বছর বয়সী পেসারের এটি ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। শুধু তাই নয়,আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ প্রথম কোনো আফগান পেসার ৫ উইকেট পেলেন। গেল শনিবার লক্ষ্ণৌতে প্রথমে ব্যাট করে ১৪৭ রান করে আফগানিস্তান। সেই রান তাড়ায় ১০৬ রানে থমকে যায় উইন্ডিজের ইনিংস।
সিরিজে ফেরার লড়াইয়ে পুঁজি খুব বড় না পেলেও বোলিংয়ের শুরু থেকেই ক্যারিবিয়ানদের চেপে ধরেন আফগানরা। চতুর্থ ওভারে ব্র্যান্ডন কিংকে বোল্ড করে শুরুটা করেন নাভিন-উল-হক। ওই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ১৭। এরপর করিমের বোলিং তোপে পড়ে তারা। দলীয় অষ্টম ও নিজের প্রথম ওভারে শিমরন হেটমায়রকে ফেরান তিনি।
পরের ওভারে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে এভিন লুইস ও শেরফেন রাদারফোর্ডকে তুলে নেন করিম। সেই রেশ না কাটতেই অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ক্যারিবীয়দের ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেন তিনি।
খানিক পর জেসন হোল্ডারকে ফেরান রশিদ খান। এতে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে উইন্ডিজ। শেষ দিকে দিনেশ রামদিনের ২৭ বলে অপরাজিত ২৪ রান কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমায়। ১৮তম ওভারে কিমো পলকে বোল্ড করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন জানাত।
ব্যাটিং ইনিংসের সূচনাটাও উড়ন্ত ছিল আফগানিস্তানের। ৪ ওভারেই ৪১ রান তুলে ফেলেন দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পঞ্চম ওভারে টানা দুই বলে দুজনকে ফিরিয়ে তাতে রাশ টানেন কেসরিক উইলিয়ামস। জাজাই ফেরেন ১৫ বলে ২৬ করে।
এরপর আর বড় কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি আফগানদের। বড় কোনো ইনিংসও খেলতে পারেননি কেউ। তবে ছোট ছোট কার্যকর ইনিংস আসে কয়েকজনের ব্যাট থেকে। জানাতের পর নাজিবউল্লাহ জাদরান অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ২০ করে। শেষদিকে গুলবাদিন নাইব করেন ১৮ বলে গুরুত্বপূর্ণ ২৪ রান।
তবুও দেড়শ ছাড়াতে পারেনি আফগানিস্তান। কিন্তু সেই স্কোরই রশিদ বাহিনীর জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়েছে জানাতের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে। একই মাঠে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হবে রোববার নির্ধারিত সময়েই। প্রথম ম্যাচে আফগানদের ৩০ রানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।