মাইলফলক থেকে মাত্র এক গোল দূরে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেটি ছুঁলেনও পর্তুগিজ যুবরাজ। তবে দলকে জেতাতে পারলেন না। সিআর সেভেন ক্যারিয়ারে ৭০০ গোল করার ম্যাচে ইউক্রেনের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেল পর্তুগাল। এতে ইউরো ২০২০-এর মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করলেন ইউক্রেনিয়ানরা।
সোমবার রাতে পর্তুগালের ঘরে আতিথ্য নেয় ইউক্রেন। সূচনালগ্নেই ঝটিকা আক্রমণ করেন অতিথিরা। ফলে চটজলদি সাফল্যও পেয়ে যান তারা। ম্যাচের ৬ মিনিটে তাদের লিড এনে দেন রোমান ইয়ারেমচুক।
এগিয়ে গিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ইউক্রেন। স্বভাবতই আক্রমণের গতি বাড়ে। ফলে ব্যবধান বাড়তেও সময় লাগেনি। ২৭ মিনিটে সফল নিশানাভেদে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আন্দ্রেই ইয়ারমোলেঙ্কো।
পরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে পর্তুগাল। এতে খেলা ওপেন হয়ে যায়। আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণে এগিয়ে চলে ম্যাচ। তবে সহজে গোল আদায় করতে পারেনি পর্তুগাল। প্রথমার্ধে বিমুখ হয়ে বিরতিতে যেতে হয় তাদের।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আক্রমণের গতি সচল রাখেন পর্তুগিজরা। একের পর এক আক্রমণে ইউক্রেনকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন তারা। সেই তোড় সামলাতে না পেরে ৭২ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ফাউল করে বসেন অতিথিরা। ফলে পেনাল্টি পান স্বাগতিকরা।
সফল স্পট কিকে ঠিকানায় বল পাঠিয়ে ব্যবধান কমান রোনাল্ডো। এতে ৭০০ গোলের মাইলফলকে নাম লেখান তিনি। জাতীয় দল ও ক্লাব ক্যারিয়ার মিলিয়ে অসাধারণ রেকর্ডটি স্পর্শ করেন পর্তুগিজ যুবরাজ।
বাকি সময়ে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় পর্তুগাল। তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি তারা। আর গোলমুখ খুলতে পারেনি ইউক্রেনও। তবে আগে এগিয়ে থাকায় শেষ অবধি ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা।
এ জয়ে ‘বি’ গ্রুপে সাত ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইউক্রেন। এক ম্যাচ কম খেলা পর্তুগালের পয়েন্ট ১১। ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্টে তিনে সার্বিয়া। মূলপর্বে ওঠার লড়াইয়ে সার্বদের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে পর্তুগিজদের।