
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৬ এএম
আগামী পিএসএল হচ্ছে পাকিস্তানে

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০২:৩২ পিএম

আরও পড়ুন
গেল চার বছর ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) আয়োজন করে আসছে পিসিবি। ঘরোয়া আসর হলেও সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে করে থাকে তারা। ফাইনালসহ কেবল কয়েকটি ম্যাচ হয় দেশে। তবে এবার গোটা টুর্নামেন্ট দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক বোর্ড।
২০০৯ সালে লাহোরে টিম শ্রীলংকার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত। আইসিসির কোনো পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশ কিংবা ক্রিকেটাররা সেখানে সফরে যান না। নিরাপত্তা ইস্যুই হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানে মূল ফ্যাক্টর। ফলে তথাকথিত হোমগ্রাউন্ড আরব আমিরাতে পিএসএল আয়োজন করতে হয় পিসিবিকে। ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয় শারজাহ ও দুবাই। ফাইনালসহ কেবল কয়েকটি ম্যাচ হয় লাহোরে।
তবে দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে মরিয়া পাকিস্তান। এতে সহায়তা করছে খোদ আইসিসি। সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। তার আশ্বাসে, ঘরের মাঠে পিএসএলের পঞ্চম আসর আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে পিসিবি।
আসন্ন টুর্নামেন্টের দিনক্ষণও চূড়ান্ত করেছে তারা। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এ আসর। পর্দা নামবে ২২ মার্চ। ম্যাসব্যাপী প্রতিযোগিতার সব ম্যাচ হবে পাক ডেরায়। যথারীতি ফাইনাল হবে লাহোরে। তবে বাকি ম্যাচগুলোর ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। শেষ পর্যন্ত এমনটি হলে আয় বাড়বে বোর্ডের।
ইমরান খান মনে করেন, দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখন অনেকটা অনুকূলে। তিনি চান, পিএসএলের সব ম্যাচ হোক পাকিস্তানে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসে বলীয়ান হয়েই এ নিজ দুর্গে পঞ্চম মৌসুম আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে পিসিবি।
দ্বিতীয় আসর থেকে চতুর্থ আসর পর্যন্ত টানা তিনটি ফাইনাল হয়েছে লাহোরে। এ ছাড়া চতুর্থ আসরের ফাইনালসহ আটটি ম্যাচ আয়োজিত হয় সেখানে ও করাচিতে। ম্যাচগুলো নির্ঝঞ্ঝাট আয়োজন করতে পারায় আগামী আসরের সব ম্যাচ নিজেদের ঘরে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি।
চলতি বছরের নভেম্বরে হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে হবে বলে ইতিমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অবহিত করা হয়েছে, পাকিস্তানের মাটিতে যেসব খেলোয়াড় খেলতে রাজি হবে; কেবল তাদেরই নিলামে তোলা হবে।
কোথায়, কোন ম্যাচ হবে তা নিয়েও পরিকল্পনা শুরু করেছে পিসিবি। হাতে পাওয়া খবর অনুযায়ী লাহোরে ১১টি, রাওয়ালপিন্ডিতে ৮টি, মুলতানে ৪টি ও করাচিতে ৯টি ম্যাচ হতে পারে।