টার্গেটটা ছিল মামুলি, ২৪০। টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও এখন সেই রান তুলে ফেলে অনেক দল। অথচ ওয়ানডেতে তা করতে পারেনি ভারত। লক্ষ্যে পৌঁছতে গিয়ে নাটকীয়ভাবে ১৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজেছে তাদের।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিফাইনালে দুদিনব্যাপী লড়ে নিউজিল্যান্ড-ভারত। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ছিল কিউইরা। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও কেন তাদের সঙ্গে পারল না টিম ইন্ডিয়া? কোচ রবি শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে জানতে চাইবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধান কোচ ও অধিনায়কসহ দলের অন্য কোচিং স্টাফদের কাছেও এই হারের ব্যাখ্যা চাইবে বিসিসিআই। ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ইতিমধ্যে ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট এবং ফিটনেস কোচ শঙ্কর বসু পদত্যাগ করেছেন।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই রানের মধ্যে ছিলেন না ভারতের মিডলঅর্ডার ব্যাটমস্যানরা। সেমিফাইনালে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় টপঅর্ডার। তাতেই ভরাডুবি মেন ইন ব্লুদের। কোহলি-শাস্ত্রীরা এসবের উত্তর কীভাবে ব্যাখ্যা করেন, এখন এটিই দেখার বিষয়।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ওপরের সারির কোহলি, রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলরা দারুণ ছন্দে ছিলেন। তবে মিডলঅর্ডারে কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যান নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
আসরের মাঝপথে ইনজুরির কারণে শিখর ধাওয়ান ও বিজয় শঙ্কর ছিটকে যান। তাদের স্থানে ডাক পান ঋষভ পান্ট ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দুজনই ভারতের বিশ্বকাপ দলের পরিকল্পনার বাইরে ছিলেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান পান্ট। তবে খুব একটা সফল হননি।
গোটা টুর্নামেন্টে উইকেটকিপিং করেছেন ধোনি। তার পরও খেলানো হয়েছে পান্ট ও দীনেশ কার্তিককে। কিন্তু ব্যাটিং ইনিংসের মাঝপথে কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। ব্যর্থতার ঘেরাটোপে বন্দি থাকেন তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, মিডলঅর্ডারের পাশাপাশি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে কেন একাধিক উইকেটকিপার রাখা হলো? সেই জায়গাগুলোতে কেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান আগে নেয়া হয়নি? শাস্ত্রী-কোহলির কাছে সেসবেরই জবাব চাইবে ভারতীয় বোর্ড।
সর্বোপরি বিশ্বকাপে ভারতের পুরো দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সব কিছুর উত্তর জানতে চাইবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী কর্তৃপক্ষ। শিগগির এ নিয়ে সবার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তারা।