এমনিতেই ইংল্যান্ডের পয়া মাঠ এজবাস্টন। উপরন্তু টার্গেটটা ছিল মামুলি, ২২৪। আরামসে তা ছুঁয়ে ফেলেছেন ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছেন তারা।
স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। এর আগে সবশেষ ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেন ইংলিশরা। সেবার ইমরান খানের পাকিস্তানের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। ফের বিশ্বকাপের স্বপ্নে বুঁদ তারা।
ম্যাচশেষে মরগ্যান বলেন, দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। সমর্থকদের ধন্যবাদ, সবসময় পাশে থেকেছেন তারা। এজবাস্টন আমাদের পয়ামন্ত ভেন্যু। সেই মাঠে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল জেতাটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারতকে এই মাঠেই হারিয়েছিলাম। তাই আত্মবিশ্বাসটা দুর্দান্ত ছিল। তিনি যোগ করেন, ফাইনালে যাওয়ার জন্য প্রতি ম্যাচে আত্মবিশ্বাসটা ধীরে ধীরে সংগ্রহ করেছিলাম আমরা।
বল হাতে আগুন ঝরিয়ে অজিদের পুড়িয়েছেন ইংল্যান্ড পেসাররা। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্রিস ওকস। ৮ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে টার্নিং পয়েন্টে শিকার করেছেন সেট ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার, পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও মিচেল স্টার্ককে। তাই মার্ক উড, লিয়াম প্লানকেট ও আদিল রশিদ ৩টি করে উইকেট শিকার করলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন ওকস।
তার প্রশংসা করে মরগ্যান বলেন, ওকস ঠাণ্ডা মাথার বোলার। সে দুরন্ত ছন্দে বল করেছে। জোফরা ও তার বোলিং জুটিটা এই বিশ্বকাপে আমাদের অন্যতম শক্তি। আর ওপেনিংয়ে জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো তো জীবনের সেরা ছন্দে রয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে যে অবস্থায় দল ছিল, তার চেয়ে অনেক উন্নতি করেছি আমরা। এই সাফল্য গোটা দলের।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক আরও বলেন, সবশেষ ১৯৯২ সালে আমরা ফাইনাল খেলেছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। তাই ওই দিনের কথা মনে নেই। তবে সেই ফাইনালের হাইলাইটস অসংখ্যবার দেখেছি। এর ইয়ত্তা নেই। ফের আমাদের সামনে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ। এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।