উইকেট ছিল পুরো ব্যাটিংবান্ধব। বল সোজা ব্যাটে আসছিল। পেসাররা বাড়তি বাউন্স বা সুইং পাচ্ছিলেন না। স্পিন টার্নও করছিল না। এখানে রান তোলা কঠিন কিছু ছিল না।
কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেখা যায়নি। হাতে গোটা ৫ উইকেট ও যথেষ্ট ওভার থাকার পরও জেতার জন্য ব্যাট চালাননি তারা। শেষ পর্যন্ত ৩১ রানে হেরে গেছে ভারত।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে- ম্যাচটি কি পাতানো ছিল? সেটি কি ইচ্ছা করেই ইংল্যান্ডকে ছেড়ে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া? পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতারের ভাষ্যেও যেন সেই সুর ফুটে উঠেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তিনি লিখেছেন, ভারত আরও ভালো খেলতে পারত। নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার আক্রমণাত্মক খেলেনি মেন ইন ব্লুরা। শেষ দিকে ৫ উইকেট হাতে ছিল। তারা বিস্ময় উপহার দিতে পারত।
রোববার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৭/৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে ১০৯ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ১১১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন জনি বেয়ারস্টো। ৫৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ঝড়ো ৭৯ রান করেন বেন স্টোকস। এ ছাড়া ৫৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রানের টর্নেডো ইনিংস উপহার দেন জেসন রয়।
এদিন শুরু থেকেই রান তোলার দিকে মনোযোগী হয় ইংল্যান্ড। তবে প্রাণপণে তাতে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেননি ভারতের বোলাররা। পরে ব্যাটিংয়েও দ্রুতগতিতে রান তুলতে দেখা যায়নি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
যা একটু লোক দেখানো চেষ্টা করেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিল মন্থর। এবারের বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। ১০৯ বলে ১৫ চারে ১০২ রানের ইনংস খেলে বিদায় নেন হিটম্যান। আর ৭৬ বলে ৭ চারে ৬৬ রান করেন কোহলি।