কুশল পেরেরার মতো এভাবেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন শ্রীলংকার ক্রিকেটাররা। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাট হেনরির গতির মুখে পড়ে একের পর এক উইকেট হারায় শ্রীলংকা।
দলীয় ৬০ রানে প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্য্যত ছিটকে যায় শ্রীলংকা।
ইনিংসের প্রথম ওভারে ম্যাট হেনরির গতির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন লাহিরু থিরিমান্নে। দলীয় ৪ রানে থিরিমান্নের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্ঠা করেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ও কুলশ পেরেরা। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৪২ রানের জুটি গড়েন।
এরপর মাত্র ১৪ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় শ্রীলংকা। ইনিংসের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন কুশল পেরেরা। কিন্তু ২৪ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৯ রান করতেই বিপদে পড়েন তিনি। তার বিদায়ের পর উইকেটে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক সাজঘরে ফেরেন কুশল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও জীবন মেন্ডিস।
শ্রীলংকার ব্যাটিংয়ে ধস নামান ম্যাট হেনরি। তিনি প্রথম ৭ ওভারে ২৯ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন লুকি ফার্গুনসন। আর একটি উইকেট নেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম।
বিশ্বকাপের ১২তম আসরের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি শ্রীলংকা ও নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের কার্ডিপে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশ্বকাপে এর আগে ১০ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। এর মধ্যে ৬টিতে জয় পায় ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী দল শ্রীলংকা।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলা নিউজিল্যান্ড জিতে ৪ ম্যাচে।
তবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এ পর্যন্ত উভয় দল ৯৮টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে ৪৮টিতে জয় পায় অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ওশেনিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড।
আর দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলংকা জয় পায় ৪১ ম্যাচে। একটি ম্যাচ ড্র, ৮টি পরিত্যক্ত হয়।
শ্রীলংকা: লাহিরু থিরিমান্নে, দিমুথ করুনারত্নে, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, জীবন মেন্ডিস, থিসেরা পেরেরা, ইসুরু উদানা, সুরঙ্গা লাকমল ও লাসিথ মালিঙ্গা।
নিউজিল্যান্ড: মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন, রস টেইলর, টম লাথাম, জেমস নিশাম, কলিন ডি গ্রান্ডহোম, মিসেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, লুকি ফার্গুনসন ও ট্রেন্ট বোল্ট।