
আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’ আত্মপ্রকাশের পর থেকেই সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন শহীদ আফ্রিদি। সাবেক পাক গ্রেটদের নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করায় সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
একের পর এক সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়ে কাবু পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক এতদিন কাউকেই পাশে পাননি। অবশেষে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ শোয়েব আখতার।
এজন্য সাবেক সতীর্থকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লালা খ্যাত আফ্রিদি। বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় আফ্রিদি শোয়েব আখতারের উদ্দেশে লেখেন, তোমাকে ধন্যবাদ শোয়েব। তোমার পদাংক অনুসরণ করেছিলাম এবং একটি বই লিখেছিলাম। কোনো সাবেক খেলোয়াড়কে আঘাত করতে চাইনি। শুধু সত্যটা বলার চেষ্টা করেছি। শিগগির দেখা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার লিখেছেন, আফ্রিদি সিনিয়রদের কাছ থেকে যে রূঢ় আচরণ পেয়েছেন তার আত্মজীবনীতে তাই লিখেছেন। বাস্তবতা এর চেয়েও কঠিন ছিল। তার আরো বলা উচিত ছিল। আসলে ২০ বছর আগেই ওর এসব নিয়ে মুখ খোলা উচিত ছিল। সঠিক সময়ে বললে আজ বইয়ে সেসব লিখতে হতো না।
গেল সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানে প্রকাশিত হয়েছে ‘গেম চেঞ্জার’। বইটি লিখেছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত সাংবাদিক ওজাহাত সাঈদ খান। এতে আফ্রিদির জানা-অজানা নানা বিষয় উঠে এসছে।
বইটিতে বুমবুমখ্যাত ক্রিকেটারের আসল বয়স জানা গেছে। তবে বোধ হয় সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টের স্পটফিক্সিং কাণ্ড সম্পর্কে আগেই তার টের পাওয়ার খবর।
২০০৭ সালে কানপুরে ভারত-পাকিস্তান ওয়ানডে লড়াইয়ে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে সংষর্ষ বাধে আফ্রিদির। আইসিসির আচরণবিধি ভাঙার দায়ে দুজনই শাস্তি পান। পরেও সেই রেশ থেকে যায়। এখন পর্যন্ত তা অব্যাহত আছে। তাও ধরা পড়েছে গেম চেঞ্জারে।
এতে নিজ দেশের সাবেক গ্রেটদের নিয়ে আফ্রিদির নানা মন্তব্য উঠে এসেছে। জাভেদ মিঁয়াদাদ তার ক্যারিয়ার ধ্বংসে গভীর ষড়যন্ত্র করেছিলেন, ওয়াকার ইউনিস ছিলেন ভয়ংকর অধিনায়ক, ২০০৩ বিশ্বকাপে ওয়াকার নয়, ওয়াসিম আকরামকে অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছিলেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা, বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সাবেক কোচ বব উলমারের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।