প্রস্তুতি ম্যাচে প্রত্যাশার ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ লিটন দাস। ফাইল ছবি
আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৩০৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে দলীয় ৫৬ রানে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস।
আইরিশ যুব দলের বিপক্ষে ইনিংসের শুরু থেকেই সাবধানি ব্যাটিং করে বাংলাদেশ দল। খোলস থেকে বের হয়ে আক্রমণে যাওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। শেন গেটকেটের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৩ বলে ২১ রান করেন তামিম।
পিটার চেজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন অন্য ওপেনার লিটন কুমার দাস। তার আগে ৩৯ বলে ২৬ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
রোববার আয়ারল্যান্ডের দ্যা হিলস ক্রিকেট মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের অধিনায়ক হ্যারি টেক্টর। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রুবেল হোসেন। তার গতির মুখে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জ্যাক ট্যাক্টর। তার আগে ২৫ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা জেমস শ্যাননকে দলীয় ৭৯ রানে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারে জেমস শ্যাননকে আউট করেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ২৫ বলে ১৮ রান করা শ্যানন।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন জেমস ম্যাককলাম ও সিমি সিং। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন রুবেল হোসেন। রুবেল হোসেনের গতির শিকার হওয়ার আগে ১০৯ বলে ১৫টি চার ও এক ছক্কায় ১০২ রান করেন ম্যাককলাম।
একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের ওপেনার জেমস ম্যাককলাম। সময়ের ব্যবধানে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আইরিশ এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। অবশ্য তার আগে সেঞ্চুরি করেন ম্যাককলাম।
তাসকিন আহমেদের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সহায়তায় ৯৫ বলে ৯১ রান করেন সিমি সিং। এছাড়া টাইরন কেন অপরাজিত ২৭ রান করেন।
বাংলাদেশ দলের হয়ে একাই তিন উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেন রুবেল হোসেন। এছাড়া সাকিব আল হাসান, ফরহাদ রেজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড এ দল: ৫০ ওভারে ৩০৭/৮ (ম্যাককলাম ১০২, সিমি সিং ৯৫; তাসকিন ৩/৬৬, রুবেল ২/৬৩, সাকিব ১/৩০, মিরাজ ১/৪৪, রেজা ১/৬৬)।