হাশিম আমলা-ইমরান তাহির-মঈন আলী-আদিল রশিদ-মোহাম্মদ সামি ও উসমান খাজা। ফাইল ছবি
দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। আগামী ৩০মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১২তম আসর শুরু হবে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইতিমধ্যেই অংশগ্রণকারী ১০টি দল চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে।
এবারের বিশ্বকাপে সাতটি অমুসলিম দলের পাশাপাশি তিনটি মুসলিম (বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তান) দল অংশ নেবে। আর এই তিনটি মুসলিম দেশের মধ্যে শুধু মাত্র বাংলাদেশ দলেই আছে দুইজন অমুসলিম (সৌম্য সরকার ও লিটন দাস) ক্রিকেটার। বাকি তিন দলে ৪৩ জন মুসলিম।
অমুসলিম সাতটি দলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের হয়ে মোট ছয়জন (হাশিম আমলা, ইমরান তাহির, মঈন আলী, আদিল রশিদ, উসমান খাজা ও মোহাম্মদ সামি) মুসলিম ক্রিকেটার বিশ্বকাপে অংশ নেবেন।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম মুসলিম খেলোয়াড় উসমান খাজা। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি এই প্রথম বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি।
বল টেম্পারিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ হওয়া ডেভিড ওয়ার্নার দলে ফেরায় উসমান খাজার বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা (উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নার) দু’জনের ওপরই আস্থা রেখেছেন।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের দুই মুসলিম তারকা ক্রিকেটার হলেন মঈন আলী ও আদিল রশিদ। জাতীয় দলের হয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্দান্ত খেলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ করে নিয়েছেন তারা। অতীতেও ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে এই দুই মুসলিম ক্রিকেটারের। সবশেষ ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন মঈন আলী। তার আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ছিলেন আদিল রশিদ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন হাশিম আমলা ও ইমরান তাহির। এটাই তাদের প্রথম বিশ্বকাপ নয়। এর আগে ২০১১ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও খেলেছেন আফ্রিকার এই দুই ক্রিকেটার। দুজনে একি সঙ্গে ক্যারিয়ারের তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় আছেন।
ভারতীয় বিশ্বকাপ দলের একমাত্র মুসলিম ক্রিকেটার মোহাম্মদ সামি। ২০১৩ সাল থেকে দেশকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন ডানহাতি এই পেসার। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ৬৩ ওয়ানডেতে ১১৩ উইকেট শিকার করা সামি আছেন এবারের বিশ্বকাপেও।
সারা পৃথিবীতে প্রায় তিনশো কোটি মুসলমান আছে। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সবমিলে ৪৯জন মুসলিম তারকf ক্রিকেটারের প্রতি সবার দোয়াও ভালোবাসা আছে। বিশ্বকাপে তারা চমক দেখাবেন সেই প্রত্যাশাই করছেন ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ।