বিরাট কোহলির সাফল্যের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি পালক। ভারতীয়দের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও সবচেয়ে বেশি রান এখন তার। আইপিএলে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে তিনি পেরিয়ে গেছেন সুরেশ রায়নাকে।
সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন ভারতীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ রান কোহলির। গণনায় ধরা হয়েছে আইপিএল, আন্তর্জাতিকসহ স্বীকৃত সব টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এখন পর্যন্ত ২৫৯ ম্যাচে ৮ হাজার ১৭৫ রান করেছেন তিনি। ৩০৯ ম্যাচে ৮ হাজার ১৪৫ রান নিয়ে তার পেছনে পড়েছেন রায়না।
আইপিএলেও রানে রায়নাকে ছাড়িয়ে গেছেন কোহলি। মাল্টি মিলিয়ন ডলারের এ টুর্নামেন্টে কোহলির রান ৫ হাজার ২১৮। আর রায়নার রান ৫ হাজার ১২১। এতে এই দুই ব্যাটসম্যানেরই কেবল ৫ হাজারের বেশি রান রয়েছে।
সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ক্রিস গেইলের। এই ফরম্যাটটা যে তার জন্যই তৈরি, রেকর্ড-পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই তা বোঝা যায়। ৩৭৭ ম্যাচে ১২ হাজার ৫৪১ রান করেছেন ক্যারিবীয় দানব। ঝুলিতে রয়েছে ২১ সেঞ্চুরি ও ৭৮ ফিফটি। অবিশ্বাস্য বললেও যেন কম হবে। কেননা, আর কোনো ব্যাটসম্যানই ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি।
সবচেয়ে কাছাকাছি ছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ৯ হাজার ৯২২ রান করে চলমান সিজনেই সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। গেইলের স্বদেশি কাইরন পোলার্ডের অবশ্য সেই মাইলফলক পেরোনোর সুযোগ থাকছে। জাতীয় দলের হয়ে তেমনটা খেলেন না। তবে বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগে পরিচিত মুখ তিনি। তার নামের পাশে ৪৬৫ ম্যাচ সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এই ক্যারিবীয় ব্যাটারের উইলো থেকে এসেছে ৯ হাজার ৬৩ রান।
তবে কোহলি যেভাবে ছুটছেন, তাতে সবাইকে ছাপিয়ে যেতে পারেন তিনি। অবশ্য গতি বিবেচনায় তার চেয়ে এগিয়ে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এত বড় নামগুলোই হতে পারে তামিমের আফসোসের কারণ। গতি তারও কম নয়। কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগই পান না তিনি। দেশের মাটিতে বিপিএল ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ড্যাশিং ওপেনারের সবচেয়ে বেশি কদর পিএসএলে। এছাড়া যা খেলেন, সেগুলো খ্যাপ বললেই চলে।
এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯১ ম্যাচ খেলেছেন তামিম। তাতেই করে ফেলেছেন ৫ হাজারের বেশি রান। ফলে তিনি আফসোস করতেই পারেন- ইশ্! যদি আর সবার মতো ঘন ঘন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া যেত।