যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিয়ে যাওয়া সৌম্য সরকার ফিরে গেছেন। তবে থেকে গিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দারুণ খেলছেন তিনি। ইতিমধ্যে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি।
শেষ খবর পর্যন্ত ৫ উইকেটে ৩৭৮ রান করেছে বাংলাদেশ। এখন ১০৩ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। মাহমুদউল্লাহ ১০৫ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন। এ পথে ১৬ চার ও ১ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আছেন লিটন দাস।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন খেলতে নামে বাংলাদেশ। সৌম্য ৩৯ ও মাহমুদউল্লাহ ১৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। এদিন শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন তারা। বলের গুণাগুণ বজায় রেখে ব্যাট চালান দুজনে। বোঝাপড়া তৈরি হলে জমাট বাঁধে তাদের জুটি। গড়ে ওঠে অসাধারণ মেলবন্ধন। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। যেন পণ করেছিলেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন। দুর্দান্ত টাইমিং আর রিফ্লেক্সে খেলেন অনন্য সব ক্রিকেটীয় ও উদ্ভাবনী শট। এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে। মাঝে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহও।
স্বভাবজাত খেলে ৯৪ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। এটি বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। অবশ্য যৌথভাবে। ২০১০ সালে লর্ডসে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি এতদিন একার ছিল তামিম ইকবালের। তার পর সেঞ্চুরির পথে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। এতে নিউজিল্যান্ডকে সমুচিত জবাব দিতে থাকে টাইগাররা। তবে হঠাৎই খেই হারান সৌম্য। ট্রেন্ট বোল্টের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ফেরার আগে খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ১৪৯ রানের বীরোচিত ইনিংস। ২১ চার ও ৫ ছক্কায় এ ইনিংস সাজান বাঁহাতি টপঅর্ডার।