
ক্ষমা চেয়েও পার পাননি সরফরাজ আহমেদ। বর্ণবাদী ও বাজে মন্তব্য করায় ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এর জেরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন পাক অধিনায়ক। এতে পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতারের ওপর বেজায় ক্ষেপেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান ৫ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং করছিলেন আন্দিলে ফিকোয়াও। একপর্যায়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবৈষম্যমূলক ও বাজে মন্তব্য করেন উইকেটের পেছনে থাকা সরফরাজ। ক্যামেরায় স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। ম্যাচটিও হেরে যায় পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সমলোচনার ঝড় ওঠে।
তাতে শামিল হন স্বদেশী শোয়েব আখতার। টুইটারে তিনি বলেন, একজন পাকিস্তানি হিসেবে এটা কোনোমতেই মানতে পারছি না। আমার মনে হয়, মুহূর্তের উত্তেজনায় এসব বলে বসেছে সরফরাজ। এজন্য ওর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এ থেকে একের পর এক সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হন সরফরাজ। তীব্র রোশানলের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চান তিনি। পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়সহ বোর্ড তাকে ক্ষমা করে দেয়। তবে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকায় ক্ষমা করেনি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা (আইসিসি)। ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ঝুলিয়ে দেয় তার ওপর। ফলে ওয়ানডে সিরিজের বাকি ২টি এবং ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টিতে বাদ পড়েন তিনি। ইতিমধ্যে ক্যাপ্টেনকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে এনেছে পিসিবি।
এতে যারপরনায় শোয়েবের ওপর ক্ষেপেছেন সরফরাজ। সর্বকালের দ্রুততম গতির বোলারকে ইঙ্গিত করে তার অভিযোগ, আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে। সমালোচনা করা হয়নি। আমি নিজের ভুল মেনে নিয়েছি। শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছি। বিষয়টা সামলানোর জন্য পিসিবিকে ধন্যবাদ। নিজেকে শুধরে ভবিষ্যতে পারফরম্যান্সে উন্নতির চেষ্টা করব। যারা এ কঠিন সময়ে আমার পাশে ছিলেন, তাদের ধন্যবাদ।
সরফরাজ নিষিদ্ধ হওয়ায় পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। সিরিজে ২-২ এ সমতা। অঘোষিত ফাইনালে বুধবার প্রোটিয়াদের মোকাবেলা করবে সফরকারীরা।