আফ্রিদির কারণে জাতীয় দলে ফেরা হয়নি: সালমান বাট
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭:৫৬ এএম
ফিক্সিংয়ের কারণে পেশাদার ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন সালমান বাট। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে খেলতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার অপেক্ষায় ছিলেন বাট। কিন্তু তাকে দলে নিতে রাজি হননি সেই সময়ে পাকিস্তান দলের নেতৃত্বে থাকা শহীদ আফ্রিদি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সালমান বাট বলেন, একদিন কোচ ওয়াকার ইউনিস ফোন করে আমাকে লাহোরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে যেতে বলেন। সেখানে ওয়াকার ও ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার আমার ফিটনেস সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং নেটে ব্যাটিংও দেখেন। কোচদের অনুপ্রেরণায় আমি জাতীয় দলে ফেরার জন্য মুখিয়ে ছিলাম, কিন্তু অধিনায়ক আফ্রিদির আপত্তির কারণে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ পাইনি।
সালমান বাট আরও বলেন, ওয়াকার ইউনিস আমাকে বলেছে আফ্রিদি আমাকে দলে নিতে চায় না। আমি জানি না, আমাকে জাতীয় দলে নিতে আফ্রিদির সমস্যাটা কোথায় ছিল। আমাকে দলে নিতে হয়তো কেউ তাকে নিষেধ করেছিল।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলে যাওয়া বাট হতাশার সুরেই বলেন, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে তো আমি রান করে যাচ্ছি। জানি না, আর কী করলে জাতীয় দলে সুযোগ পাব।
২০১০ সালের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং ঘটনায় হইচই ফেলে দেন সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। লর্ডসের সেই টেস্টে সালমান বাট ছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। তার প্ররোচনাতেই ইচ্ছা করে নো বল করেছিলেন পেসার মোহাম্মদ আমির ও আসিফ।
স্পট ফিক্সিং ঘটনায় ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর তাদের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়। সম্মানের সঙ্গেই জাতীয় দলে খেলছেন মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তান ক্রিকেট দলে আমির এখন নিয়মিত সদস্য। তবে সালমান ও আসিফ পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেললেও এখনও জাতীয় দলে জায়গা পাননি।