
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ এএম
চরম অভাবে দাবা ফেডারেশন, হাত পাতল বিসিবি-বাফুফের কাছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৯ এএম

আরও পড়ুন
চরম অর্থ সংকটে দাবা ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি। সংকট কাটাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দ্বারস্থ হয়েছে তারা। সাবেক কমিটির কর্তাদের প্রশংসা করে অ্যাডহক কমিটির কর্তারা সংকট দূর করতে সচেষ্ট হয়েছেন।
গত বছরের ১৪ নভেম্বর সাবেক সচিব সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি ও দাবাড়ু তৈয়বুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দাবায় ঘোষণা করা হয় নতুন অ্যাডহক কমিটি। দায়িত্ব নিয়েই অর্থ সংকটে পড়েন কর্তারা। দেশের শীর্ষস্থানীয় আটজন সম্ভাবনাময় পুরুষ ও জাতীয় মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ কয়েকজন দাবাড়ু এ বছর দেশে-বিদেশে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। বিশ্বকাপ দাবায়ও খেলবেন দাবাড়ুরা। তাদের বছরভর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার পরিকল্পনা করেছে দাবা ফেডারেশন।
নতুন গ্র্যান্ডমাস্টার বের করে আনার জন্যও এই পরিকল্পনা ফেডারেশনের। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দাবা ফেডারেশন সহযোগিতার জন্য আবেদন করেছে দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া ফেডারেশন বিসিবির কাছে। বিসিবির কাছে তারা এক কোটি টাকা চেয়েছে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান।
তার কথায়, ‘আমাদের ফেডারেশন অর্থ সংকটে ভুগছে। গত ৭ জানুয়ারি বিসিবির কাছে অর্থের জন্য আবেদন করেছি। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গেও দেখা করে দাবা বিশ্বকাপের অনুশীলনের জন্য অর্থ চেয়েছি। তিনি আমাদের বাজেট দিতে বলেছেন, দু-এক দিনের মধ্যে বাজেট দেব। শুধু বিসিবি নয়, আমাদের সভাপতি সুজা ভাই বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ভাইয়ের সঙ্গেও ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন। বাফুফে সভাপতি আশ্বাস দিয়েছেন।’
স্কুল দাবার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া গেছে বলে জানান তৈয়ব, ‘দেশব্যাপী স্কুল দাবা আয়োজনে আর কোনো বাধা নেই। ইয়ামাহা গ্রুপ ইতোমধ্যে ৭০ লাখ টাকা এবং জাতীয় হাইস্কুল দাবা প্রোগ্রামিং কনটেস্টের জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয় ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। আমার চিন্তা শীর্ষ দাবাড়ুদের নিয়ে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারছি না অর্থ সংকটের কারণে।’
এদিকে ক্রীড়াঙ্গনে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন দাবা ফেডারেশনের সভাপতি সুজাউদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদকে প্রশংসা সূচক চিঠি দিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, এশিয়ান জোনাল দাবা ৩.২ এর সভাপতি হিসাবে বেশ কিছু সফল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য প্রশংসাপত্র দেন তিনি।
তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘আমি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ভাইকে বলেছি, যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আপনাকে সম্মানিত করব।’ বিষয়টি স্বীকার করে সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। চট্টগ্রামে একটি করে আন্তর্জাতিক মাস্টার (আইএম) ও গ্র্যান্ডমাস্টার (জিএম) টুর্নামেন্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করব আমি।’