আমি তো স্বেচ্ছায় যাচ্ছি না, বাঁচি-মরি এখানেই থাকব: ন্যান্সি
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্ল্যাকমেইল ও নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। তাকেও রাখা হয়েছিল কালো তালিকায়।
শুধু ন্যান্সি, আওয়ামী সরকারের আমলে বৈষম্যের শিকার হন আরও অনেক সংগীতশিল্পী। কালো তালিকায় ফেলে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল তাদের। স্বৈরাচার সরকার পতনের পরই প্রকাশ্যে আসে তাদের সব অপকর্ম। দেওয়া হয়নি গান গাওয়ার সুযোগ।
সম্প্রতি এমন অভিযোগ করেছেন ন্যান্সি। একপর্যায়ে দেশত্যাগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এ শিল্পী। ন্যান্সি বলেন, ‘আমি বিএনপির কোনো পদে নেই। এমনকি কোনো পদের প্রত্যাশা প্রার্থীও নই। আমার আম্মা নেত্রকোনা জেলার জাসাসের সহসভানেত্রী ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিএনপির কোনো পদে না থাকলেও একই মতাদর্শের কারণে ব্ল্যাকলিস্টেড ছিলাম। কোনো বিষয়ে আলোচনা করলেই বলা হতো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি।
তিনি বলেন, নেত্রকোনায় আমার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার ভাইকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমার মনে হয়, যদি নিঃশ্বাসটুকু কেড়ে নেওয়া যেত, তাহলে সেটাও তারা (আওয়ামী লীগ) কেড়ে নিত। এতটা নিপীড়ন গেছে যে একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিই, এ দেশে আর থাকব না।
ন্যান্সি বলেন, গত বছর অক্টোবরে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলাম। সেই সময় ভার্জিনিয়ায় এক অ্যাটর্নির সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করি, শিল্পী হিসাবে সেখানে কীভাবে থাকতে পারি। এরপর আমি সেখানে স্থায়ী হওয়ার জন্য আবেদন করি। দেশে ফেরার পরও সেই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে থাকি। তবে একপর্যায়ে মনে হলো, কেউ আমাকে আমার দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। আমি তো স্বেচ্ছায় যাচ্ছি না। তখন সিদ্ধান্ত নিই, বাঁচি-মরি এখানেই থাকব। আমার যাই হোক, শেষ পর্যন্ত দেখব।’
এ সময়ে ক্যারিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মতাদর্শের কারণে একের পর এক শো বাতিল হয়েছে আমার। শোগুলো কনফার্ম করার পরও আমাকে বাদ দেওয়া হতো। অনেক সময় শো করতে রওনা দিয়ে মাঝরাস্তা থেকে ফেরত আসতে হয়েছে। সিনেমার গান থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। আমাকে নিয়ে গান করলে জাতীয় পুরস্কারের জন্য জমা দেওয়া যাবে না, তাই আমাকে দিয়ে গান গাওয়ানো হতো না। সহকর্মীরাও অনেক সময় আমার সঙ্গে নোংরা রাজনীতি করেছে। আমাকে বাদ দেওয়ার জন্য অন্যদের চাপ প্রয়োগ করত।’