মোবাইলের দিকে তাকালেই ঘাড়ে যন্ত্রণা, প্রতিদিন নিয়ম করে যে অভ্যাস করুন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
প্রতিদিন নিয়ম মেনে যোগাসন করলে তবেই আপনার মিলবে ফল। শরীর চাঙ্গা রাখতে কোন কোন আসন করতে পারেন, খোঁজ নিন। আর শিখে নিন কাষ্ঠ তক্ষণাসন, তবেই ঘাড়ের যন্ত্রণা দূর হবে।
প্রতিদিন নানা অনিয়মের কারণে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লম্বা হচ্ছে প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধের তালিকা। অনেকে অল্প বয়সেই নানা রকম রোগে ভুগছেন জীবনশৈলীতে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে। ফিট থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করা জরুরি। এই একটি দাওয়াইতেই গায়েব হতে পারে হাজার রোগ। তবে কাজের ব্যস্ততা ও সংসারের দায়িত্ব সামলে জিমে যাওয়ার সময় পান না অনেকেই। ইচ্ছে থাকলে কিন্তু বাড়িতেই আধ ঘণ্টা সময় বার করে যোগাসন বা ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারেন। কেবল রোগা হতেই নয়, নানা রকম রোগবালাই ঠেকিয়ে রাখতেও নিয়ম করে যোগাসন করা একান্ত প্রয়োজন।
তবে সঠিক নিয়ম মেনে যোগাসন করলে তবেই মিলবে ফল। শরীর চাঙ্গা রাখতে কোন কোন আসন অভ্যাস করতে পারেন। মুশকিল আসান করার পদ্ধতির জেনে নিন। আজকের ব্যায়াম কাষ্ঠ তক্ষণাসন।
কাঠুরেরা যেভাবে কাঠ কাটেন, সেই ভঙ্গিতে এ আসনটি করা হয়। অনেকে বলেন, কাঠুরেরা কাঠ কাটার সময় তাদের জমে থাকা রাগ, দুঃখ, ভয় ও অবদমিত ইচ্ছে উজাড় করে দেন। প্রতিদিনের আসন অভ্যাসে এই গতিশীল অনুশীলন রোজকার জীবনে শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
কীভাবে যোগাসন করবেন—
• ম্যাটের ওপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের মধ্যে ফাঁক রাখুন।
• মনে মনে ভাবুন, আপনি দুই হাত দিয়ে একটি ভারি কুঠার শক্ত করে ধরে আছেন। এটিই হলো আসন শুরুর ভঙ্গি।
• ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে দুই হাতে ভারি কুঠার ধরে তোলার ভঙ্গি করুন। ধীরে ধীরে মাথার ওপর দিয়ে পেছনের দিকে কাল্পনিক কুঠার তুলতে হবে। মেরুদণ্ড সামান্য পেছনে হেলান।
• এবারে শ্বাস ছেড়ে মুখ দিয়ে ‘হা’ শব্দ করে পায়ের মাঝখানে রাখা কাল্পনিক ভারি কাঠ কাটার ভঙ্গিতে দ্রুত নামান মুঠো করা হাত।
• হাঁটু সামান্য ভাঁজ হবে। কিন্তু লক্ষ রাখবেন, পা যেন মাটি থেকে ওপরে উঠে না যায়। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হলো।
• আবার শুরুর ভঙ্গিতে গিয়ে দুই হাত ওপরে তুলে কাঠ কাটার ভঙ্গি করুন। এই ভাবে ৫–৭ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে।
• প্রতিবার দ্রুত শ্বাস ছাড়তে হবে এবং মুখ দিয়ে জোরে ‘হা’ শব্দ করবেন। এর ফলে মানসিক চাপ দূর হবে।
কেন করবেন—
নিয়মিত কাষ্ঠ তক্ষণাসন অভ্যাস করলে কোমর ও নিতম্বের পেশিতে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে এই অংশের পেশি উজ্জীবিত হয় ও টান টান থাকে। এই আসনটির আরও একটি বিশেষ কার্যকারিতা আছে। কাঁধ ও পিঠের ওপরের দিকের পেশি সচরাচর খুব বেশি ব্যবহার না হওয়ায় সেখানে আড়ষ্ট ভাব আসে। ব্যথা বাড়ে। এই আসনটি অভ্যাস করলে কাঁধ ও পিঠের ওপরের দিকের পেশির সঞ্চালন হয়। আবার শ্বাস ছাড়ার সময় মুখ দিয়ে ‘হা’ শব্দ করার নানা ভালো দিক আছে। এর ফলে মনের মধ্যে জমে থাকা রাগ, দুঃখ, ভয় দূর হয়।
যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত—
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ ও শিরদাঁড়ার সমস্যা থাকলে এই আসন অভ্যাস করবেন না।