Logo
Logo
×

সোশ্যাল মিডিয়া

ফিলিস্তিনি নারীদের ত্যাগের ইতিহাস লিখলে সাহাবি যুগের নারীদের মতো বিরাট ভলিউম হবে

মনযূরুল হক

মনযূরুল হক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম

ফিলিস্তিনি নারীদের ত্যাগের ইতিহাস লিখলে সাহাবি যুগের নারীদের মতো বিরাট ভলিউম হবে

একটা বিষয় আপনাদের বলি। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ প্রথম ধাপে মুক্তির জন্য ইতোমধ্যে যে ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় উপরের দিকে দুই জন নারীর নাম আছে, একজন বামপন্থি সংগঠন পপুলার ফ্রন্টের ডেপুটি খালেদা জাররার, আরেকজন হলেন প্রিজনার্স বিটের সাংবাদিক বুশরা আল-তাউইল।

তাদের দুইজন সম্পর্কে বলার আগে একটা পয়েন্ট দিই। তালিকায় ফাতাহ ও ইসলামিক জিহাদের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন সদস্যও আছেন।

দেখেন, এই তালিকা কিন্তু ইসরাইল তাদের পছন্দমতো বানায় নাই, বরং এটা হামাসের ডিমান্ড ছিল। অথচ মুক্তি যারা পেতে যাচ্ছে তারা হামাসের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সদস্য, এমনকি বামপন্থি নেত্রী, এবং বেগানা নারী। 

এর আগেও আমরা দেখেছি আহেদ তামিমি সেই লিস্টে ছিল। মূল বিষয় হলো, কমন শত্রুর বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থকে হামাস সবসময় প্রাধান্য দিয়েছে।

খালেদা জাররারের কথাই ধরেন। তিনি পিএফএলপির তিনজন ডেপুটির একজন, ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের সদস্য এবং ইউরোপ কাউন্সিলের ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি। তাকে এর আগেও তাকে ১৪ বার গ্রেফতার করা হয়। 

একবার বন্দি অবস্থায় তার বাবা মারা যান, আরেকবার বন্দি থাকতে তার মা মারা যান, আরেকবার বন্দি থাকাকালে মারা যান তার ৩১ বছর বয়সী মেয়ে সুহা, এমনকি সর্বশেষ ২৩ এর অক্টোবরে হামাসের হামলার পর তাকে বন্দি করা হয় এবং সে-অবস্থায় তার ছেলে ওয়াদিয়া হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। 

কিন্তু কারও মৃত্যুতেই তাকে জানাজা-অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকারও সুযোগ দেওয়া হয় নাই।

সাংবাদিক বুশরাও কয়েকবার গ্রেফতার হন। প্রথমবার ২০১১ সালে। তারপর বিখ্যাত ‘গিলাদ শালিত’ বন্দিবিনিময় চুক্তি হলে ইয়াহইয়া সিনওয়ারের সাথে তিনি মুক্তি পান। এরপরও তাকে আরও অন্তত তিনবার বন্দি করা হয়। ২০২১ সালে শেষবার বন্দির সময়ে বিনা চার্জে তাকে আটকে রাখার প্রতিবাদে তার বাবা অনশন করেন। 

তার বাবা জামাল আল-তাউইল ছিলেন আর-বিরহের মেয়র এবং হামাসের প্রমিনেন্ট লিডার। তার স্বামীকে মোহাম্মদ আল-তাউইলকেও ২০০২ সাল থেকে বন্দি রাখা হয়েছে, এমনকি ৯ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।

ফিলিস্তিনি নারীদের, ফিলিস্তিনি মায়েদের ত্যাগের ইতিহাস লিখলে সাহাবি যুগের নারীদের মতো বিরাট বিরাট ভলিউম হয়ে যাবে।

লেখক: তরুণ আলেম ও অ্যাক্টিভিস্ট

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম