ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ফাইল ছবি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা জামিনের পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। মুক্তির দুই ঘণ্টা পরই পরীক্ষায় অংশ নেন জবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার জামিন আদেশ পান খাদিজা। রোববার তার জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। খাদিজার মুক্তির জন্য রোববার সারা দিন তার পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু রাত ১১টা পর্যন্ত খাদিজা মুক্তি না পাওয়ায় তাকে ছাড়াই তারা ফিরে যান। পরে সোমবার সকাল ৯টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
সর্বোচ্চ আদালতের জামিন আদেশের পরও পরীক্ষার আগের দিন খাদিজাকে কেন কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারেননি, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ব্যাখ্যা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
খাদিজাকে কেন আরও আগে জামিন দেওয়া হলো না সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জবির এই ছাত্রীকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন আসিফ নজরুল। সেখানে তিনি লেখেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর জামিন না পাওয়ার কারণে ১৫ মাস জেলে ছিলেন। ‘
‘আমার প্রশ্ন, যাকে ১৫ মাস পর জামিন দেওয়া গেল, তাকে আরও আগে জামিন দেওয়া হলো না কেন? হাইকোর্ট তাকে জামিন দেওয়ার পরও আরও প্রায় ৯ মাস কেন সেটা ঝুলে থাকলো আপিল বিভাগে?’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষকতা করছি বহু বছর ধরে। জামিনের ওপর বড় একটা গবেষণা করেছিলাম ইউএনডিপির জন্য। কোনো সদুত্তর নেই আমার নিজের কাছেই। আমি মর্মাহত।’