Logo
Logo
×

স্মরণীয়-বরণীয়

খন্দকার আবদুল হামিদ

Icon

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিক খন্দকার আবদুল হামিদের জন্ম ১৯১৮ সালের ১ মার্চ শেরপুর জেলার কসবা গ্রামে। তার পিতা খন্দকার আবদুল লতিফ ছিলেন শেরপুর পৌরসভার কমিশনার। মাতার নাম বেগম আমীরুন্নেছা। আবদুল হামিদ গোবিন্দকুমার পিস মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে ১৯৩৫ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৩৭ সালে আইএ পাশ করেন। ১৯৪০ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

শিক্ষাজীবন শেষে আবদুল হামিদ সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতার দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক এবং ১৯৫৩-১৯৫৬ সালে দৈনিক মিল্লাত পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সিনিয়র ‘লিডার রাইটার’ পদে যোগ দেন। এ পত্রিকায় তিনি ‘স্পষ্টভাষী’ ছদ্মনামে মঞ্চে নেপথ্যে কলাম এবং একই সময় ‘মর্দে মুমীন’ নামে উপসম্পাদকীয় কলাম লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ‘চাষী’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৭৬ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশ করেন বাংলা সাপ্তাহিক বাংলাদেশ। তিনি ১৯৮২ সালে দৈনিক দেশ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি নিযুক্ত হন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি খন্দকার আবদুল হামিদ রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অন্যতম প্রবক্তা তিনি। তিনি ১৯৫৩ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে প্রদেশে ৯২-ক ধারা জারি হলে তিনি নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন। ১৯৬৫ সালে মুসলিম লীগের (কাউন্সিল) প্রার্থী হিসাবে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে তিনি শেরপুর থেকে জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন এবং জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় যুব উন্নয়ন মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৮১ সালে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রম, জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নিযুক্ত হন।

খন্দকার আবদুল হামিদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য এবং কৃষি ব্যাংকের পরিচালকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ছিলেন।

সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৭ সালে তাকে ‘একুশে পদক’ প্রদান করে। ১৯৮৩ সালের ২২ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম