সর্বগ্রাসী দুর্নীতির পেছনে ছিল মাফিয়া চক্র
শেয়ারখেকো রাক্ষস শিবলী
হাজার কোটি টাকা পাচার, পর্ষদ ভেঙে দিয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দখল * সালমান এফ রহমানকে ৬৬০০ কোটি টাকার সুবিধা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফাইল ছবি
দেশের আর্থিক খাতে বেপরোয়া দুর্নীতি ও জালিয়াতি করেছেন সদ্য গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। যিনি ছিলেন শেয়ারবাজারে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক। কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার, জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসইসিতে ১২৭ জনকে নিয়োগ, পর্ষদ ভেঙে দিয়ে কোম্পানি দখল, ভুয়া বাড়িভাড়া ও রপ্তানি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আয়, ক্ষমতার অপব্যবহার নিশ্চিত করতে সাবেক আইজিপিকে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের ভুয়া ভর্তি করান এই অধ্যাপক। এরকম সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কারণে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে তিনি ‘রাক্ষস শিবলী’ হিসাবে বেশি পরিচিত। আর তার এই দুর্নীতি করার পেছনে সহায়তাকারী হিসাবে ছিল মাফিয়া চক্র। জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন যুগান্তরকে বলেন, শিবলী রুবাইয়াতের মেয়াদকাল শেয়ারবাজারে সবচেয়ে অন্ধকার সময় ছিল। এই বাজারে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। দুর্নীতি, জালিয়াতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে পুরো শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক শৃঙ্খলা ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিনিয়োগকারীরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চান। তার মতে, শিবলী রুবাইয়াতের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে সুশাসনের বার্তা দেওয়া উচিত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ক্ষমতাবানদের ম্যানেজ করে এসব কাজ করেছেন শিবলী রুবাইয়াত। এক্ষেত্রে তাকে সরাসরি সহায়তা করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (বরখাস্ত) মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিস সরাফাত এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন অন্যতম। বিভিন্ন সংস্থার প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে যুগান্তরের দীর্ঘ অনুসন্ধানে এসব বিষয় উঠে এসেছে।
এসব বিষয় নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে তৎকালীন সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হয় যুগান্তর। এদিকে দুদকের মামলায় আজ শিবলী রুবাইয়াতের রিমান্ড শুনানির কথা রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। বুধবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে আদালত রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যুগান্তরের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে শেয়ারবাজারে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কের নাম শিবলী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের এই অধ্যাপক। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বিরোধিতা সত্যেও গত বছরের ২৮ মে শিবলী রুবাইয়াতকে ৪ বছরের জন্য বিএসইসিতে পুনঃনিয়োগ দেন শেখ হাসিনা। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মে তাকে প্রথমবার বিএসইসির চেয়ারম্যান করা হয়। প্রথম মেয়াদেই বিভিন্ন অপরাধ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বেপরোয়া ছিলেন। শেয়ারবাজারে কারসাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে গড়েন সম্পদের পাহাড়। কারসাজির চক্রকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে বিশাল অসাধু সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেটে ছিলেন কমিশনের ভেতরের কর্মকর্তা, স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আলোচিত গ্যাম্বলার, ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী আমলা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা গেছে-ঋণখেলাপি থাকাবস্থায় ২০২০ সালে বিএসইসিতে নিয়োগ পান শিবলী। তবে বিএসইসিতে আসার পর অবৈধ টাকায় সেই ঋণ শোধ করেন। কোম্পানির আগের মামলা বাতিল করে তাদের দায়মুক্তি দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের ভুয়া ভর্তি এবং ব্যাপক সমালোচিত পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি দিয়ে সমালোচিত হন তিনি। এছাড়াও ছাগলকাণ্ডে চাকরি হারানো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানকে শেয়ারবাজারে সব ধরনের সহায়তা করেন শিবলী রুবাইয়াত। ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগ নেয় দুদক। এক্ষেত্রে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং সম্প্রতি তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।
গ্রেফতার : মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শিবলী রুবাইয়াতকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে দুদকের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময়ে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
আজ রিমান্ড শুনানি : দুদকের মামলায় শিবলী রুবাইয়াতকে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে তোলা হয়। এ সময়ে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
মামলা : ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ঘুস গ্রহণের অভিযোগে শিবলী রুবাইয়াতসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বুধবার মামলা করেছে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন-মোনার্ক হোল্ডিং ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ. মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের মালিক আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এফএভিপি ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখার অপারেশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন ও ব্যাংকটির অডিট অ্যান্ড ইনস্পেকশন ডিপার্টমেন্টের এসইভিপি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ। এজাহার থেকে জানা গেছে, শিবলী রুবাইয়াত বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ঘুস গ্রহণ করেন। এরমধ্যে ভুয়া বাড়ি ভাড়া চুক্তি দেখিয়ে শিবলী রুবাইয়াত ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং ভুয়া পণ্য বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
অর্থ পাচার : জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত ১ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন শিবলী রুবাইয়াত। অর্থ পাচার করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে-সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। এতদিন বিষয়টি আলোচনায় ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এর সত্যতা মিলেছে। বর্তমানে পাচারের অর্থে তার ছেলে দুবাইতে ব্যবসা করছেন।
প্রতারণা : শিবলী রুবাইয়াতের বাল্যবন্ধু জাভেদ মতিন ২০২০ সালে মিং গ্লোবাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৩ মিলিয়ন ডলার মানি লন্ডারিং করেছেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন শিবলী রুবাইয়াত। এতে শিবলীর অ্যাকাউন্টে প্রায় আড়াই লাখ ডলার আসে। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩ কোটি টাকা।
জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ : বিএসইসিতে জনবল নিয়োগে ভয়ংকর জালিয়াতি করেছেন শিবলী রুবাইয়াত। ১২৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিশালসংখ্যক এই নিয়োগে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা ও সরকারি আদেশের তোয়াক্কা করা হয়নি। মহামারি করোনার কারণে সরকারি নির্দেশে যখন দেশব্যাপী লকডাউন চলছিল, তখন তড়িঘড়ি করে এই নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। এক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনাও আমলে নেওয়া হয়নি। পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে। বিএসইসির চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ এবং বিভিন্নভাবে শেয়ারবাজার থেকে সুবিধাভোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির দুজন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং ড. মোহাম্মদ তারেককে দিয়ে একাজ করেছেন। নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে ডিএসইর পরিচালক এবং ড. মোহাম্মদ তারেককে শেয়ারবাজারের আরেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনস্টিটিউটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট করা হয়। এছাড়াও ড. তারেককে সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) এবং বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পর্ষদ ভেঙে কোম্পানি দখল : অভিনব পদ্ধতিতে দুর্বল কোম্পানির পর্ষদ ভেঙে ৩ বছরে দখল করেছেন ২৬ প্রতিষ্ঠান। এসব কাজে সরাসরি যুক্ত ছিলেন শিবলী। এর মধ্যে জাপানি বিনিয়োগের আড়ালে ‘মিনোরি বাংলাদেশ’ নামক একটি কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দখল করা হয়। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিচ্ছে না এই অজুহাতে এমারেল্ড অয়েলের পর্ষদ ভেঙে মিনোরি বাংলাদেশকে প্রথমে মালিকানা দেওয়া হয়। পরে নতুন শেয়ার (প্লেসমেন্ট শেয়ার) ইস্যুর ক্ষমতা দেয় বিএসইসি। শুরুতে নীরবেই এমারেল্ডের ১০ টাকার শেয়ার ৮ টাকারও কমে নেয় মিনোরি। এরপর ভুয়া মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ারের দাম ১৮০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে আইন, বিধি ও নিয়মের তোয়াক্কা না করে লকইন তুলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপর পরিচালকরা শেয়ার বিক্রি করে টাকা নিয়ে গেছেন।
সালমানকে বিশেষ সুবিধা : শিবলী রুবাইয়াতের জালিয়াতিতে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন সালমান এফ রহমান। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ব্যবহার করে মিডিয়াকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। সীমাহীন জালিয়াতি ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ হলেও কোনো সংস্থা তার বিরুদ্ধে ন্যূনতম পদক্ষেপ নেয়নি। এ কারণে বাজার থেকে সালমান এফ রহমানকে ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার তহবিল জোগান দেওয়া হয়। এরমধ্যে বেক্সিমকো সুকুক বন্ড ৩ হাজার কোটি টাকা, আইএফআইসি আমার বন্ড ১ হাজার কোটি টাকা এবং বেক্সিমকো জিরো কুপন বন্ড ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা তুলে নেয়। এ কারণে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও শিবলী রুবাইয়াতের দ্বিতীয় দফা নিয়োগে সহায়তা দেন সালমান।
জালিয়াতির আইপিও অনুমোদন : শেয়ারবাজারে অন্যতম জালিয়াত কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস (হোটেল লা মেরিডিয়ান)। কোম্পানিটি একটি নিষিদ্ধ অডিট কোম্পানি দিয়ে তাদের সম্পদ ৮ হাজার কোটি টাকা দেখিয়েছে। কোম্পানিটির মালিক আমিন আহমেদ বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন বলে দুদক তদন্ত করছে। প্রতারণার মামলায় তিনি কারাগারে। এরপরও এই কোম্পানিকে শেয়ারবাজার থেকে ৩৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছেন শিবলী রুবাইয়াত।
শেয়ার মূল্যে কারসাজি : শেয়ারবাজার কারসাজির গ্রুপগুলোকে সরাসরি সহায়তা করেছেন শিবলী রুবাইয়াত। সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল খায়ের হিরুসহ কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে তিনি বাজার থেকে হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছেন। এই হিরু তার সরাসরি ছাত্র। এছাড়াও শেয়ারবাজারে এসএমই খাতের শেয়ার নিয়েও এই অধ্যাপক কারসাজি করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নামমাত্র জরিমানা করে তিনি অপরাধীদের দায়মুক্তি দিতেন।