যুগান্তরে রিপোর্ট প্রকাশ
বিআইসিএম থেকে পদত্যাগ করলেন ড. তারেক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
ফাইল ছবি
শেয়ারবাজারের প্রশিক্ষণ সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) থেকে পদত্যাগ করলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ তারেক। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে রোববার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এর আগে জালিয়াতির মাধ্যমে তার নিয়োগ এবং দুর্নীতি নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট প্রকাশ করে যুগান্তর।
প্রসঙ্গত, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত একটি শিক্ষা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান বিআইসিএম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানের তদারকির দায়িত্বে বিএসইসি। পদাধিকার বলে বিএসইসির চেয়ারম্যান এই প্রতিষ্ঠানের পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকেন। আর নির্বাহী প্রধানের পদবি হলো ‘নির্বাহী প্রেসিডেন্ট’।
অভিজ্ঞতার সনদ জালিয়াতি করে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তারেক। জন্মসনদ অনুসারে ওই সময়ে তার বয়স ছিল ৪৪ বছর। কিন্তু চাকরির জন্য ২০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। এ কারণে অভিজ্ঞতা সনদে অসততার আশ্রয় নেন তিনি। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। যুগান্তরের প্রতিবেদনে এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।