Logo
Logo
×

শেয়ার বাজার

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ডিএসইর এমডি

শেয়ারবাজারে স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষমতা সীমিত

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৫ পিএম

শেয়ারবাজারে স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষমতা সীমিত

শেয়ারবাজারে স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষমতা সীমিত। বিশেষ করে কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ার (আইপিও) অনুমোদন, কোম্পানি পরিদর্শন, কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আরও ক্ষমতা জরুরি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যতিক্রম। 

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান এসব কথা বলেন। তার মতে, দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইস (নিম্নসীমা) বাজারের জন্য ইতিবাচক নয়। 

শেয়ারবাজারের রিপোর্টারদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) রাজধানীর পল্টনে তাদের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানে তিনি ডিএসইর বর্তমান অবস্থা এবং উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ সময় বাজারে কারসাজি বন্ধ, ডিমিউচুয়ালাইজেশন (স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা আলাদাকরণ), কৌশলগত বিনিয়োগ, ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বত্তৃদ্ধতা করেন সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। 

ডিএসইর এমডি বলেন, আইপিও যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত। আগে এক্সচেঞ্জের ভালো ভূমিকা ছিল, এখন অনেকটাই কম। বর্তমানে আইপিওসহ সব ধরনের পাবলিক অফারের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদা আইন রয়েছে। কোথাও স্টক এক্সচেঞ্জ অনুমোদন দেয়, আবার কোথাও নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন দেয়। আমাদের দেশে আগে থেকেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইপিও অনুমোদন দিয়ে আসছে। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের আস্থার উন্নয়নে ফ্লোর প্রাইস স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। এটা শেয়ার প্রাইস নির্ধারণে সরাসরি হস্তক্ষেপ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা স্টক এক্সচেঞ্জ সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করে না। এটি বিশ্বের কোথাও নেই। স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাইস ডিসকভারের জায়গা। 

এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন করা হয়। আর নতুন আইনে স্বতন্ত্র পরিচালকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের (শেয়ারধারী) প্রতিনিধিও রয়েছে। তবে আইনটি ২০১২ সালের। বর্তমান সময়ের আলোকে, কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। তার মতে, ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর স্টক এক্সচেঞ্জে বেশকিছু সুফল এসেছে। মালিকরা এখন সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ করেন না। পরিচালনা কার্যক্রমে পর্ষদের কোনো প্রভাব নেই। তবে এখানে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- ৫ বছর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হয়েছে চীন। আলোচ্য সময়ে তাদের কাছ থেকে কী সহায়তা মিলেছে। জবাবে তিনি বলেন, চীনের শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ বর্তমানে ডিএসইর অংশীদার। তাদের টেকনিক্যাল কিছু প্রস্তাব ছিল। ইতোমধ্যে সেই প্রস্তাবের কিছু কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এখনো কিছু বাকি। করোনার কারণে তা বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই তা বাস্তবায়ন হবে। 

বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ঝুঁকি আছে। ফলে এখানে লাভ-লোকসান থাকবেই। কারও লোকসান হবে না- এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। তবে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হয়, বিনিয়োগকারীর টাকা যাতে কেউ আত্মসাৎ করতে না পারে, সে ব্যাপারে ডিএসই তৎপর।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম