স্বপ্নদ্রষ্টার সত্য প্রতিষ্ঠায় অবিচল থাকুক যুগান্তর
আজহারুল হক, নবাবগঞ্জ
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩১ পিএম
দুই যুগে পা রাখল সত্যের সন্ধানে নির্ভীক দৈনিক যুগান্তর। স্বপ্নদ্রষ্টার সত্য প্রতিষ্ঠায় অবিচল থেকে এগিয়ে যাক গণমানুষের মুখপত্র এই পত্রিকাটি। ২০০০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম দেশের মানুষের স্বপ্ন প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে যুগান্তর পত্রিকাটি প্রকাশ করেন।
তার সাহসী উদ্যমের কারণে খুব অল্প সময়েই এটি দেশের মানুষের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য সংবাদপত্র হিসেবে পরিচয় লাভ করে। হয়ে উঠে গণমানুষের কণ্ঠস্বর। ব্যবসা বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন রাজনীতি উন্নয়ন ও দেশের সমৃদ্ধির খবর প্রকাশনায় পাঠকপ্রিয় যুগান্তর আজ দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইনেও রয়েছে যুগান্তরের প্রায় কোটি পাঠক। সারা দেশের মানুষের কাছে নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতায় যুগান্তর এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
শত শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই পত্রিকার উদ্যোক্তা দেশের লাখো কোটি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে। আজ পত্রিকাটির জম্মদিনে বারবার মনে পড়ছে তার উদ্যমী সাহসিকতাকে। যিনি নিজে সাংবাদিক না হয়েও মেধা আর প্রজ্ঞা দিয়ে সাধারণ সাংবাদিকতা থেকে শুরু করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা জুগিয়েছেন। যার প্রতিফলন ঘটেছে যুগান্তর ও দেশের সংবাদমাধ্যমে।
এ দেশের সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুসরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি অনাদিকাল। তার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করেই আজকের এ লেখাটি। শুধু ব্যবসা ক্ষেত্রেই নয়, সংবাদপত্র জগতেও উদ্যোক্তার কাতারে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার সাহস ও পরিকল্পনায় যুগান্তর ও যমুনা টিভি আজ দেশের প্রথমসারির গণমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার সৃষ্টি ও সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের মাধ্যম আজ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথকে সুগম করেছে। তার রেখে যাওয়া ন্যায়-নিষ্ঠা আদর্শে অবিচল থেকেই আমরা পথ চলতে চাই। এটাই হোক আমাদের আগামী দিনের পথ চলার অঙ্গীকার।
নুরুল ইসলাম শুধু একজন উদ্যোক্তাই ছিলেন না। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশাসক হিসেবেও ছিলেন একজন দক্ষ কর্মবীর। যার কথা শুনে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা এবং অদম্য শক্তি সাহসের সঞ্চার হতো। তার শূন্যতা আমাদের ব্যথিত করেছে তবে মাথা নোয়াতে শেখায়নি। তাই মহান কর্মবীর নুরুল ইসলামের চির প্রস্থানের প্রায় তিন বছরে আমরা আজও শির উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। তার অনুসারী হিসেবে আমরা সত্য ন্যায় ও সাহসিকতার পথে অবিচল থাকব এটাই আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম শুধু দোহার নবাবগঞ্জ নয়। সারা দেশের লাখো মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন। তার রেখে যাওয়া প্রতিটি স্মৃতিই যেন আমাদের হৃদয়ে খোদিত হয়ে থাকবে। তার রেখে যাওয়া ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিও আমাদের কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার ছেদ থাকবে না। তাদের সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
এগিয়ে যাক যমুনা গ্রুপ ও তার প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাই প্রয়াত নুরুল ইসলামের সহধর্মিণী ও পত্রিকার প্রকাশক একজন কর্ম-উদ্যমী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের প্রতি। এছাড়া যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের চেতনায় যুগান্তর আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপে অগ্রসরমান সেই শ্রদ্ধেয় সম্পাদক সাইফুল আলমকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুন। হে নবীন, কর্মবীর ও স্বপ্নদ্রষ্টার দেখানো পথে হও আগুয়ান।