ফজরের আজানের পর ঘুম ভাঙলে রোজা রাখার নিয়ম

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০২ পিএম

প্রশ্ন: ফজরের আজানের পর ঘুম ভাঙলে রোজা রাখার বিধান কি?
উত্তর: যদি কোনো কারণে সেহরিতে উঠতে না পারেন; ফজরের আজানের পর ঘুম থেকে উঠেন তখন আপনি শুধু রোজার নিয়ত করে নিবেন। তাহলে আপনার রোজা হয়ে যাবে।
কেননা, সেহরির সময় রোজার নিয়ত করতে না পারলে দিনে সূর্য ঢলার প্রায় এক ঘণ্টা আগে নিয়ত করলেও রোজা হয়ে যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/২২৯)।
তবে ভবিষ্যতে যেন এরকম বিড়ম্বনায় আর পড়তে না হয় তাই সাবধানতা স্বরূপ ঘুমানোর আগেই রাতেই আগত দিনের রোজা সম্পর্কে মনে মনে নিয়ত করে রাখাই উত্তম।
হাদিস শরিফে এ সম্পর্কে ইঙ্গিত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজার নিয়ত পাকাপোক্ত করে নি, তার রোজা নেই। (তিরমিযী ৭৩০)
সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ তৈরি হলে সেহরি বা কোনো কিছু পানাহার করা মাকরুহ। তা সত্ত্বেও যদি কিছু খেয়ে নেয় আর ওই সময় বাস্তবেও সুবহে সাদিক হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে ওই রোজা সহিহ হবে না। তার কাজা করে নেবে।
আর যদি সুবহে সাদেক হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েই যায়, নিশ্চিতরূপে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারা যায় তা হলেও সতর্কস্বরূপ ওই রোজার কাজা করে নেবে। (হেদায়া- ১/২২৫)
ফরজ রোজার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
আরবি দিনের সূচনা হয় সুবহে সাদিক থেকে। তাই সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতটুকু সময় হয়, এর মাঝামাঝি সময়ের আগে রোজার নিয়ত করলেই রোজা রাখা শুদ্ধ হবে।

