আজ রমজানের ২৭তম রাত। শবেকদরের অন্যতম সম্ভাব্য ক্ষণ। মূলত লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বা সময় নেই। ২১ রমজান থেকে নিয়ে ২৯ রমজান পর্যন্ত বেজোড় যে কোন রাতই শবে কদর হতে পারে।
পবিত্র শবে কদর মহিমান্বিত একটি রজনী। শবে কদরের অন্য নাম লাইলাতুল কদর। কদরের রাতে অজস্র ধারায় আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।
এ রাতে এত অধিকসংখ্যক রহমতের ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেন যে, সকাল না হওয়া পর্যন্ত এক অনন্য শান্তি বিরাজ করে পৃথিবীতে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে ‘লাইলাতুল কদর’ লাভ করার জন্য রমজানের শেষ দশরাত জাগ্রত থেকে ইবাদতে কাটিয়েছেন এবং উম্মতে মুহাম্মাদীকেও সারা রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করার নির্দেশ দিয়েছেন।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি বলে দিন যদি আমি জানতে পারি যে, শবেকদর কোন রাতে হবে, তাতে আমি কী বলব?
রাসুল (সা.) বললেন- তুমি বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আননি।’ (অর্থ) হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাস। অতএব, আমাকে ক্ষমা করো। (তিরমিজি)।
লাইলাতুল কদরের ফজিলত অপরিসীম। তাই সারা রাত জাগরণ করে সঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগীতে মনোনিবেশ করা কর্তব্য।
বেশি বেশি নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, সালাতুস তাসবিহ, উমরী কাজা নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দান-সদকা, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, তওবা-ইসতেগফার, দুয়া-দুরূদসহ ইত্যাদি নফল আমলের প্রতি মনযোগী হওয়া একান্ত জরুরি।
আল্লাহর দুয়ার আজ অবারিত, প্রশস্ত, ক্ষমার জন্য উন্মুক্ত। আসুন নিজের দুয়ার ফেলে রেখে প্রভুর দুয়ারে, বসে যাই ইস্তেগফার, তাহাজ্জুদ, তাসবিহ, সদকাহ, তিলাওয়াত আর প্রার্থনায়।
মিলে যেতে পারে ক্ষমা, সৌভাগ্যের ‘লাইলাতুল কদর’।