‘শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতে সরকার অপকৌশল করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থাযী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন যারা করছে তাদের দাবি-দাওয়া ন্যায্য। বিএনপি এর সঙ্গে আছে বলে সরকার যে কথা এখন বলেছে, এসব কথা বলে আসলে বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এটা তাদের (সরকার) একটা অপপ্রয়াস-অপকৌশল এই আন্দোলনকে (কোটা আন্দোলন) অন্যদিকে ধাবিত করার জন্যে। আমরা ভয় পাচ্ছি এইটুকুই যে, এই আন্দোলনের ফাঁক দিয়ে আবার অন্য কোনো অপকর্ম তারা (সরকার) করছে কি না, এদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করছে কি না… এটা আমরা ভয় পাচ্ছি।’

শনিবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই সরকারের পতন ঘটানো। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কিছুই থাকবে না। এই হায়নারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে।’

বেলা ১২টায় মির্জা আব্বাস ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব ও সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পন করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সাত জানুয়ারির নির্বাচনের পর এই প্রথমবারের মতো জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে এত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হন।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মীর সরাফত আলী সপু, তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানিসহ মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে আমরা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের নবগঠিত কমিটির সবাইকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করতে এসেছি। আমাদের নবগঠিত কমিটির সূর্য সন্তানেরা শপথ গ্রহণ করল এদেশের মাটি ও মানুষের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করবে। 

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী যখন অসুস্থ থাকেন সারা দেশ তখন অসুস্থ থাকে। এই জাতিকে এবং দেশকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করতে হবে এই প্রত্যয়ে আজকে আমাদের এই কবর জিয়ারত।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘অতীতে বিএনপির কোনো আন্দোলন ব্যর্থ হয় নাই। ওই সব আন্দোলনে আমাদের ছেলেরা, আমাদের কর্মীরা, আমাদের নেতারা দলে দলে জেলে গিয়েছি… এখনো যাচ্ছে, আবার বেরুচ্ছে, আবার ঢুকছে… তারা গুলি খেয়েছে, আহত হয়েছে, শাহাদতবরণ করেছে বহু লোক আছে।বিএনপির কোনো আন্দোলন ব্যর্থ হয় নাই। বরং সরকারই নানা কলা-কৌশল, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে, এখনো করছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। এরপর সাংগঠনিক নিয়মনীতি অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে।