মিয়ানমারের চলমান সংঘাত (মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধ) পরিস্থিতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সম্পর্ক আছে কি না- এমন প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কী ঘটতে যাচ্ছে, এর অন্তরালে কী আছে?যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, তার সঙ্গে সরকারের কোনো গোপন সম্পর্ক আছে কি?যদি না থাকে তবে নিশ্চয়ই সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং জনগণের কাছে দৃশ্যমান করবে। কারণ, মিয়ানমারের মতো দেশ এই শক্তি ও সাহস ইতোপূর্বে কোনো দিন পায় নাই, আজকে কেন পায়?’

বুধবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর এসব প্রশ্ন তুলেন। তাকে মিয়ানমার ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ যথাযথ কি না- এ প্রশ্ন করা হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘একদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরম্ভ করে প্রতিনিয়ত বিজিবি সদস্য, দেশের জনগণকে হত্যা করছে, অন্যদিকে পূর্ব দিক থেকে মিয়ানমারের গুলি, কয়েকজন আহত ও নিহত হয়েছে।ঝাঁকে ঝাঁকে সেনা পলায়ন ও বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ- এটা নিয়ে আমাদের শুধু নয় আপনাদেরকেও ভাবতে হবে।’

এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সৃষ্ট সংকটের জন্য সরকারকে দায়ী করে দেওয়া বিএনপি নেতা রুহল কবির রিজভীর বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে মন্তব্য করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

সরকারের ‘নতজানু নীতি’র কারণে মিয়ানমারের সংঘাতে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত রয়েছে- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যকে ‘হাস্যকর’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের নীতির কারণে আরাকান আর্মি আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হচ্ছে- এসব বক্তব্য পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।