আনসার ব্যাটালিয়ন বিল প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১১ পিএম
আনসার বাহিনীকে অপরাধী আটক, তল্লাশি ও মালামাল জব্দ করার ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করে সোমবার জাতীয় সংসদে একটি বিল আনা হয়েছে। ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩’ নামের এ বিলটি উপস্থাপনের বিরোধিতা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংসদে একটা বিল এসেছে, এটা শুধু দুশ্চিন্তার নয়, আতঙ্কের বিষয়। গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে এরা ধ্বংস করে দিচ্ছে, ইনস্টিটিউশনগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখন সারা পৃথিবীতে পুলিশ একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এখানে আনসারকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। যাদের বেসিক ট্রেনিং পর্যন্ত নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশের কিছু বিষয় আছে, এটা কিন্তু আলাদা জিনিস। এটা কোড অব কনডাক্ট (আচরণবিধি), আলাদা আইন- সবকিছু দ্বারা পরিচালিত হয়। আনসারের কাজটা আলাদা। তারা ভিন্ন প্রতিষ্ঠান, তাদের সেভাবে তৈরি করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের যে আধুনিকীকরণ, এটা জিয়াউর রহমানই করেছেন। এখন এটাকে রাজনীতিকীকরণ করার নতুন ব্যবস্থা তারা নিতে যাচ্ছে আইন করে। আমরা এর নিন্দা জানাই। কোনোমতেই যাতে আইনটা না করা হয়, সে দাবি জানাচ্ছি।
বিরোধী দল দমনে সরকারের নতুন সংযোজন- গণসংহতি আন্দোলন : এক বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল জানান, আনসার সদস্যদের আটকের ক্ষমতা দিয়ে আইন প্রণয়নে জাতীয় সংসদে যে বিল উত্থাপন হয়েছে তা বিরোধী দল দমনে সরকারের নীলনকশায় নতুন সংযোজন। অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
নেতারা বলেন, চলমান একদফা আন্দোলনে ভিত হয়ে সরকার দমন-পীড়নের শক্তি বাড়াতে আনসার বাহিনীকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর, সেখানে আনসারকে আটকের ক্ষমতা দিলে তাতে যেমন জনগণের ভোগান্তি বাড়বে তেমনি পুলিশের কাজও বিভক্ত হবে। দমন পীড়ন করে গণআন্দোলন থামানো যাবে না। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণ দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে এবার লড়াইয়ে বিজয়ী হবে।