Logo
Logo
×

অন্যান্য

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতদের জন্য দোয়ার আহ্বান জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতদের জন্য দোয়ার আহ্বান জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ‘ম্যারি এন’ নামক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিহত, আহত, ক্ষতিগ্রস্থ ও সহায়সম্বলহীনদের জন্য সারাদেশে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

সোমবার এক বিবৃতিতে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন এ আহ্বান জানান।  সংগঠনটির সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। ১৯৯১ সালের এ দিন প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যারি এন’ লণ্ডভণ্ড করে দেয় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় পুরো উপকূল। রাতের নিস্তব্ধতা এবং অন্ধকার ভেদ করে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল কক্সবাজার, মহেশখালী, চকরিয়া, বাশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, সীতাকুণ্ড পতেঙ্গাসহ নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ দেশের উপকূলীয় এলাকা। বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছিল। পরদিন বিশ্ববাসী অবাক হয়ে গিয়েছিল সেই ধ্বংসলীলা দেখে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্মরণকালের ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬৬ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। মারা যায় ২০ লাখ গবাদি পশু। প্রায় ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়। ক্ষতি হয়েছিল ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ।  বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম শোকাবহ ঘটনায় জনগণ দশকের পর দশক শোক পালন করে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করে বাংলাদেশে ‘ম্যারি এন’ ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের তেমনভাবে স্মরণ করা হয় না বলেও অভিযোগ করা হয়।

এছাড়াও বলা হয়, প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসযজ্ঞে স্বজনহারা অনেকের আর্তনাদ এখনো থামেনি। ঘরবাড়ি হারা অনেক মানুষ এখনো মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিতে পারেনি। ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ৩০ বছর অতিবাহিত হলেও উপকূলীয় মানুষের সুরক্ষায় নেওয়া হয়নি কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। সাগরে কোনো লঘুচাপ, নিম্নচাপ কিংবা মেঘ দেখলেই আতঙ্কে চমকে ওঠেন উপকূলবাসী।

বিবৃতিতে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে নিহত-আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও সহায়সম্বলহীনদের জন্য সব মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করার আহ্বান জানানো হয়।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ঘূর্ণিঝড়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম