
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম
ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ নিয়ে যে আহ্বান জানাল জামায়াত

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম

আরও পড়ুন
দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও উপর্যুপরি বিমান হামলার প্রতিবাদে ৭ এপ্রিল বিকাল ৪টায় ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশকে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ গণবিক্ষোভে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচি ও ৭ এপ্রিল বিক্ষোভ মিছিল বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে মোহাম্মদপুর থানা জামায়াত আয়োজিত এক দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল আউয়াল আজম, মশিউর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, গাজায় ইসরাইলি নির্মমতা ও বর্বরতা ইতিহাসের সব নিষ্ঠুরতার রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এমনকি ইসরাইল নিধন ও হত্যাযজ্ঞ হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের ঘটনাকেও হার মানিয়েছে। জায়নবাদীরা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজা উপত্যকায় যে দানবীয় বোমা হামলা চালাচ্ছে, তাতে মুসলিম উম্মাহকে বসে থাকার সুযোগ নেই। তাই এ ইহুদিবাদী নির্মমতা মোকাবিলায় মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধে জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ বিশ্ব সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় দখলদার বাহিনীর উন্মত্ততা কোনোভাবেই থামানো যাবে না।
ড. রেজাউল করিম বলেন, দ্বীন বিজয়ের প্রচেষ্টা চালানো আমাদের প্রত্যেক নবী-রাসূলগণের ওপর ফরজ ছিল। সে ধারাবাহিকতায় আমাদের ওপরও তা ফরজ করা হয়েছে। আর দ্বীন বিজয়ের অন্যতম অনুসঙ্গ হচ্ছে দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণ। আর এ কাজকে গতিশীল ও সম্প্রসারিত করার জন্যই কেন্দ্রীয় জামায়াত গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। তাই এ কর্মসূচি সফল করার জন্য প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। কেউ যেন দাওয়াতের বাইরে না থাকে সে ব্যাপারে প্রত্যেক ইসলামী আন্দোলনের জনশক্তিকে সতর্ক থাকতে হবে।
দ্বীন বিজয়ী করতে ময়দানে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান জামায়াতের এই নেতা।