
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৩ এএম
আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ির মৃত্যুতে বিপ্লবী পরিষদের শোক

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম

আরও পড়ুন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি এসইউএফ মুকরেমা রেজার ইন্তেকালের খবরে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
রোববার এক শোকবার্তায়
দলের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান মরহুমা এসইউএফ মুকরেমা রেজার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন
এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এতে বলা হয়,
রোববার দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
এসইউএফ মুকরেমা রেজা ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে
তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী
রেখে গেছেন।
রোববার বাদ
আসর রাজধানীর বনানীর ওল্ড ডিওএইচএস মাঠে মরহুমার জানাজা শেষে এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে
সমাহিত করা হবে।
খোমেনী ইহসান
বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীকে পরিণত শহিদ জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ
সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি হিসেবে এসইউএফ মুকরেমা রেজা বিগত ১৮ বছর জুলুম ও
নিপীড়নের নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। এসময় তিনি জামাতা কোকোকে হারান, তার মেয়ে
বিধবা ও দুই নাতিন এতিম হয় এবং জামাতার বড় ভাই তারেক রহমান দুই বছরের কারাভোগের পর
১৬ বছর ধরে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। সর্বোপরি তার বেয়াইন জিয়া পরিবারের অভিভাবক
খালেদা জিয়াও মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ হয়ে বারবার জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উপনীত হন।
জাতীয় বিপ্লবী
পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ
হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে আপামর জনসাধারণের মতো জিয়া পরিবার মুক্তি লাভ করে। কিন্তু
মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের পরিপূর্ণ উত্তরণ দেখে যাওয়ার আগেই এসইউএফ মুকরেমা রেজার দুনিয়াবী
জীবনের অবসান হয়েছে।
শোক বার্তায়
খোমেনী ইহসান সব নাগরিককে এসইউএফ মুকরেমা রেজাসহ বিগত ১৮ বছরে নির্যাতিত নিপীড়িত নাগরিকদের
ইন্তেকালে দোয়ায় শামিল হতে ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন।