
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ এএম
মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর ইন্তেকালে বিপ্লবী পরিষদের শোক

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম

ফাইল ছবি
বাংলাদেশী মুসলমানদের মহান অভিভাবক, প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও মুজাহিদে আযীম মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী (রহ.)-এর ইন্তেকালের খবরে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ গভীর শোক প্রকাশ করছে।
শনিবার এক শোক
বার্তায় দলের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান ও সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ এ শোক প্রকাশ
করেন। তারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন
এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন,
‘মরহুম হাফেজ্জী হুজুরের (রহ.) সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী
(রহ.)। তিনি তার বাবার মতোই জীবনের প্রতিটি পরতে ইসলাম, দেশের স্বাধীনতা ও উম্মাহর
অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিবেদিত ছিলেন। তিনি ছিলেন দীনের অক্লান্ত খাদেম, আপসহীন
নীতিবান নেতৃত্বের প্রতীক এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার সংগ্রামী
জীবন, জ্ঞানগর্ভ বয়ান ও নেতৃত্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায়
মরহুমের ফ্যাসিবাদবিরোধী বিশেষ অবদানের কথা তুলে ধরে বলা হয়, ২০১৩ সালে শাহবাগী ফ্যাসিবাদীদের
বিরুদ্ধে সবার আগে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী (রহ.) প্রতিরোধের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি
ডাক দেওয়ার পরই বিভিন্ন ইসলামী দল, ব্যক্তি ও নাগরিকরা শাহবাগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার
হন। তবে এ অবদানের জন্য তিনি কোনো মহল থেকে যথাযথ স্বীকৃতি পাননি। এমনকি চব্বিশের পাঁচ
আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এই ফ্যাসিবাদবিরোধী মহান ইমামকে মূল্যায়ন করা
হয়নি। এ উপেক্ষা ও অকৃতজ্ঞতা থেকে জাতি মুক্ত হবে বলে শোকবার্তায় আশা ব্যক্ত করে তাকে
সর্বোচ্চ জাতীয় পদক দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর নিজ মাদ্রাসা জামেয়া নুরিয়ায় মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী (রহ.)
ইন্তেকাল করেন।