Logo
Logo
×

রাজনীতি

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানা গেল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানা গেল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক। খালেদা জিয়া ফেরার কিছুদিন পর তারেক রহমানও দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।  

বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম লন্ডনে ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।’

তিনি বলেন, ‘ডাক্তাররাও বিষয়টি মাথায় রেখে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন।  তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দু-এক দিন এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফেরার কিছুদিন পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।

এম এ মালেক বলেন, ‘আমাদের লিডারের (তারেক রহমান) দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনও নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছুদিন পর হয়তো তিনি দেশে ফিরবেন। একসঙ্গে দুজন অবশ্যই যাবেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি।’

সেনা-সমর্থিত এক এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একাধিক দুর্নীতির মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন তারেক রহমান। সেখানে তিনি পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন। 

দেশ ছাড়ার সময় তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দলের নেতৃত্বের ভূমিকায় ফেরেন। তিনি চব্বিশের গণআন্দোলনে লন্ডন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রাজনৈতিক মহলে তারেক রহমানের ভূমিকার প্রশংসা হচ্ছে। আগামীতে সরকার গঠনে তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়া ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেকের বিরুদ্ধে এক-এগারো সরকার এবং পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় ৮৫টি মামলা দায়ের করেছিল।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত সক্রিয় তারেকের প্রত্যাবর্তন এখন বহুল প্রত্যাশিত হয়ে উঠেছে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার উদ্যোগের মাধ্যমে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে আজ সব মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

হত্যা মামলা থেকে দায়মুক্তির উদ্দেশে ঘুস লেনদেনের অভিযোগে করা মামলা থেকে তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

এর মধ্য দিয়ে বিচারিক আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা রইল না। সেই সঙ্গে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বাধা কেটে গেল।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকেই তারেকের দেশে ফেরা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা চলছে, তবে বিএনপি নেতারা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করেননি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তারেক রহমান যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারেন।  

তিনি বলেন, তারেক রহমান তার নিরাপত্তার বিষয়সহ সবকিছু বিবেচনা করে দেশে ফিরবেন।

বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষা করছেন। আগামী দিনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে তারেক রহমানের ভূমিকা যে গুরুত্বপূর্ণ হবে সেটি নি:সন্দেহে বলা যায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম