
প্রিন্ট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৪ এএম
ভোটারদের বঞ্চিত করার নীলনকশা হচ্ছে কিনা আশঙ্কা রিজভীর

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম

আরও পড়ুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথাবার্তায় মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।মানুষ মনে করছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটা তামাশা তৈরি হচ্ছে কিনা। ১৬ বছর ধরে যে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি সেই ভোটারদেরকে বঞ্চিত করার আবার কোন নীল নকশা হচ্ছে কিনা এই ধরনের আশঙ্কা মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, কাজ এখনো শেষ হয়নি? এখনো কেন গড়িমসি? কদিন আগে না নিশ্চিত করে বললেন যে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছেন।আবার আজকে খবরের কাগজে পড়লাম এটা জুনেও হতে পারে ,সেখানে বলেছেন যদি স্বল্প মেয়াদী সংস্কার চান তাহলে ডিসেম্বরে আর যদি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চান তাহলে জুনে এই কথাগুলো সরকারের পক্ষ থেকে বলে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে কেন?এটা আজকে জনগণের জিজ্ঞাসা।
বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, সংস্কারের আবার স্বল্প মেয়াদি কি? দীর্ঘ মেয়াদি কি? সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। আজকে আপনি যেটি সংস্কার করছেন সেটি ৫০ বছর পর আবার সংস্কার হতে পারে। ২০ বছর পর আবার সেটি বাতিল হতে পারে , নতুন সংস্কার আসতে পারে। তাহলে এই কথাগুলো আসছে কেন? স্বল্প মেয়াদি সংস্কার হলে ডিসেম্বরে, দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার হলে জুনে নির্বাচন হবে-এই কথাগুলোর মধ্য দিয়েও তো একটা ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে।
রিজভী বলেন, ইউরোপে ডাইনি শিকার বলে একটি কথা ছিল। এটা আইন করে করা হয়েছিল কিছু মেয়েদেরকে ডাইনি বলে পুড়িয়ে হত্যা করা হতো। অত্যন্ত অমানবিক এই প্রথা ১৭৩৫ সালে সেটি রদ করা হয়। সুতরাং আজকের যে সংস্কার এটা যে চিরস্থায়ী হবে এমন কোন কথা নয়। এটি ৪০ বছর পর আবার ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে, আবার নতুন কোন সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। সংস্কার প্রবাহমান, চলমান সেখানে স্বল্প মেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি বললে এটাই যে আপনার চূড়ান্ত তা তো নয়। সুতরাং এই সমস্ত কথা বলে জনমণে সরকার যদি কোন ধোঁয়াশা তৈরি করেন তাহলে সরকারের প্রতি মানুষের একটা বড় ধরনের অনাস্থা তৈরি হবে। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে তাদের কাছে জনগণ এটা প্রত্যাশা করে না। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী আমলে সাংবাদিকদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে নুরুল ইসলাম সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সিনিয়র সহ সভাপতি ইয়াছিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ। এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।