আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে সমন্বয়কের বাবাকে খুনের অভিযোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩১ এএম

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় এক সমন্বয়কের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় হামলাকারীদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে সমন্বয়কের বাবা হাবিবুল হুদা (৫৫)। আহত হয়েছে পরিবারটি আরও তিন সদস্য।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা
আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। আব্দুর রাজ্জাককে
পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহ থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত। তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।
তাদের দাবি, মূল ঘটনা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ।
শুক্রবার উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাহাশিয়াখালী সিকদারপাড়া এলাকায়
এ হামলার ঘটনা ঘটে। মৃত হাবিবুল হুদা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি
সাইদুল হুদার বাবা।
আহতরা হলেন, খুশিদা বেগম (৪৫), আবিদুল হুদা (৩০) ও আমেনা বেগম (৫০)।
মৃতের স্ত্রী আহত খুশিদা বেগম বলেন, ‘জুমার নামাজের পর ইউপি চেয়ারম্যান
আব্দুর রাজ্জাককে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহ নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়।
পরে চেয়ারম্যানের লোকজন আমার ছেলেকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা গুলি চালায়। এতে আমার
স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত
ঘোষণা করেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও মৃতের ছেলে সাইদুল হুদা বলেন,‘আমাদের
সংগঠনের কার্যক্রমের শুরু থেকেই বাধা দিতেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক। নানা ধরণের
হুমকি দিতেন তিনি। সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়ে তিনি একাধিকবার বলেছেন, তোমাদের সরকার
বেশি দিন থাকবে না, আমরা ক্ষমতায় ফিরব—এমন নানা ধরণের হুমকি দিয়েছেন। সবশেষ, তিনি আমার
বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছেন।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
ঈদগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, জমিজমা
সংক্রান্ত বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে
তদন্ত চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’