‘জামায়াত আমিরের নেতৃত্বে বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হোন’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, রমজান তাকওয়া ও আত্মশুদ্ধির মাস। রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা তাক্বওয়ার গুণবালী অর্জন করলে শিশু আছিয়াদের দুঃখজনকভাবে সম্ভ্রম হারাতে বা জীবন দিতে হবে না। তিনি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্ব দুর্নীতি, দুঃশাসন ও বৈষম্যমুক্ত নতুন দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তাহলেই দেশ জাতির মুক্তি মিলবে।
তিনি শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানে দ্য ক্যাফে রিওতে বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমি আয়োজিত কবি-সাহিত্যিক, বিট সাংবাদিক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সম্মানে আয়োজিত এক পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি আবেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সেক্রেটারি ইব্রাহীম বাহারী।
বক্তব্য রাখেন- বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মুজাহিদী, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শামসুল আলম, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, এনএনবিডি২৪.কম এর সিইও মু. আতাউর রহমান সরকার, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি মাহবুব মুকুল, বাচিক শিল্পী বায়েজীদ মাহমুদ, কবি হাসান আলীম, জাকির আবু জাফর প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন নোংরামিতে ভরে গেছে। অথচ সৃজনশীল, ইতিবাচক ও শালীনতা বজায় রেখেই যে শিল্প ও সাহিত্য চর্চা করা সম্ভব তা আমাদের তাকওয়াবান কবি-সাহিত্যিকরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ, অদ্বিতীয় ও নির্ভুল জীবন বিধান হলেও অনেকেই পুরোপুরি অনুসরণ করে না। অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের দ্বীনের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হতে বলেছেন। আর আংশিক মানা না মানার চেয়েও খারাপ। আল্লাহ তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন। আর যারা আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করে না তাদের কালামে হাকিমের কোথাও কাফির, কোথাও ফাসিক ও আবার কোথাও জালিম হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এরা পার্লামেন্টে আল্লাহওয়ালা লোক নির্বাচিত হোক তা তারা চায় না। অথচ দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে ৫ বছরের মধ্যেই দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হত্যা, নৈরাজ্য ও ধর্ষণসহ সব ধরনের অপরাধ মুক্ত করা সম্ভব। দেশে কোনো দরিদ্রতা, বেকারত্ব ও বস্তি থাকবে না।
এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আনোয়ার হোসেন মোল্লা।