‘জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দেশ পুনর্গঠন করতে হবে’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১২:৪০ এএম
সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে একাত্তরে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে পরে। জনগণের অধিকার বুঝিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তারা অধিকার হরণে লিপ্ত হয়। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেও একইভাবে জনগণের সব অধিকার হরণ করা, অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করা-সহ দেশকে আওয়ামী লীগ অপকর্মের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন নির্যাতিত হয়ে বারুদে পরিণত হয়েছিল— যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিস্ফোরিত হয়। ফলশ্রুতিতে হাসিনার মসনদ তছনছ হয়ে যায়। রাজনীতির এই পটপরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল লতিফ মাসুম।
সোমবার আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) উদ্যোগে চলমান গণইফতার কার্যক্রমের নবম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গণইফতারে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদুর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান, এবি পেশাজীবী কাউন্সিলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক, গণঅধিকার পরিষদের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আশরাফ।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, গতবছর আমরা হাসিনাকে দেশ ছাড়াসহ আওয়ামী লীগকে খাম্বার সঙ্গে বেঁধে রাখার কথা বলেছিলাম। আমরা কি হাসিনাকে বিতাড়িত করতে পেরেছি? যারা চাঁদাবাজি, লুটতরাজ করছে তাদেরকে মানুষ গ্রহণ করবে না। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের মালিক আপনারা এবং দেশটা কারও বাপের না। এবি পার্টির রাজনীতি মেহনতী মানুষের জন্য, আপনারা যাতে দুবেলা পেটপুরে খেতে পারেন, রাস্তায় যাতে রাষ্ট্রের কাউকে ঘুমাতে না হয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই আমরা গণইফতারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র আকারে দেখানোর চেষ্টা করছি— আমরা ক্ষমতা গেলে জনকল্যাণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে নাগরিকের মৌলিক অধিকার পূরণে সচেষ্ট থাকবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা.জাহেদ উর রহমান বলেন, হাসিনার মতো কেউ ফ্যাসিস্ট হোক সেটা আমরা চাই না। আমরা আর নতুন কাউকে হাসিনা হতে দেবো না। লুটপাট, চাঁদাবাজি করতে দেবো না। যেই আসুক জনগণের কথায় কাজ করতে হবে। এদিক-সেদিক করলেই হাসিনার মতো টেনে নামানো হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিনার চলমান ধর্ষণের ঘটনাকে পাশবিকতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সেনা মোতায়েনের পরও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, নিরাপত্তা না দিতে পারলে পদ ছাড়ুন, অলংকৃত করার জন্য ওই পদে আপনাকে বসানে হয়নি। আইনশৃঙ্খলা অবনতির দায় কোনোভাবেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এড়াতে পারেন না।