এনসিপির ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ কী? জানালেন নাহিদ ইসলাম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম

নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি
জুলাই অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন করে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার সংকল্প তুলে ধরেছে অভ্যুত্থানের সংগঠকদের জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শুক্রবার মানিক
মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের মঞ্চ থেকে উপস্থাপন করা ঘোষণাপত্রে ‘সেকেন্ড
রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যা যা করতে চান তার ধারণা
দিয়েছেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির এমন
ঘোষণার প্রেক্ষাপটে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বলতে আসলে কী বোঝায় এবং এটা কীভাবে কাজ করবে-তা
নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
নাহিদ বলেন,
‘আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
গড়ে তোলা হবে। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো
পুনরায় গড়ে তোলা ও তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করা হবে আমাদের রাজনীতির অগ্রাধিকার।
এর মধ্য দিয়েই কেবল আমরা একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারব।’
ঘোষণাপত্রে
বলা হয়েছে, ‘হাজারো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি
সরকার পতন করে আরেকটি সরকার বসানোর জন্যই ঘটেনি। জনগণ বরং রাষ্ট্রের আষ্টেপৃষ্ঠে জেঁকে
বসা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা
থেকে এই অভ্যুত্থানে সাড়া দিয়েছিল, যেন জনগণের অধিকারভিত্তিক একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠিত
হয়।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে
‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের সূচনা হিসেবে তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন,
‘একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদেরকে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র
পুনঃপ্রতিষ্ঠার সব সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার
জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক
লক্ষ্য।
এদিকে জুলাই
অভ্যুত্থানের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া এনসিপির ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বিষয়ে এনসিপির একাধিক
নেতা বলেছেন, বিপ্লবের পর আগের ব্যবস্থাকে বিলোপ করে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠা
করার মাধ্যমে ফ্রান্স, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ঘোষণা করা হয়েছিল।
যার ফলে রাষ্ট্র কাঠামোতে নতুন ‘বন্দোবস্ত’ তৈরি হয়।
তারা আরও বলেন,
ফ্রান্সের সেকেন্ড রিপাবলিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগের রাজতন্ত্র বিলোপ করে গণতান্ত্রিক
অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমরাও সেভাবে বলছি, অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগের মাধ্যমে জনগণ
রাষ্ট্রকাঠামোতে নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে। আমরা সেটাই করতে চাই।