জামায়াতের আলোচনাসভায় বক্তারা
সেনা হত্যার বিচার না হলে জাতি দায়মুক্ত হবে না

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশপ্রেমী সেনা হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটা ছিল দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ও পূর্ব পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
মঙ্গলবার দুপুরে
শেরেবাংলা নগরের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে শেরেবাংলা নগর উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত জাতীয়
শহিদ সেনা দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আমির মু.
আব্দুল আউয়াল আজমের সভাপতিত্বে এবং থানা কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ শাহজাহানের
পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন থানা বায়তুলমাল সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, কর্মপরিষদ
সদস্য সাইফুল আলম, মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন
বলেন, পিলখানার তথাকথিত বিদ্রোহের ঘটনা ছিল বাংলাদেশবিরোধী আধিপত্যবাদী, সম্প্রসারণবাদী
এবং তাদের তাবেদারদের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব
অরক্ষিত করার জন্যই সেদিন ৫৭ জন চৌকস, মেধাবী ও দেশপ্রেমী সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে
হত্যা করে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল। কোনো যুদ্ধেও এত সংখ্যক সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানীর
রেকর্ড নেই। তাই গঠিত তদন্ত কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী
শেখ হাসিনা এবং তাদের দোসরদের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে এদেশ থেকে ফ্যাসিবাদী
রাজনীতি চিরতরে বিদায় দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে জনগণের শাসন। আগামী দিনে এদেশে কোনো
দাদাগিরি মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন,
আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ। এদেশে আর কখনো চাঁদাবাজি, টেন্ডরবাজি, দুর্নীতি
ও লুটপাট মেনে নেওয়া হবে না। এজন্য জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন
নিশ্চিত করতে হবে। সে নির্বাচনকে অবশ্যই রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা দরকার। মূলত এজন্যই
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হওয়া জরুরি। নির্বাচনের বিকল্প
হিসাবে স্থানীয় সরকারে প্রশাসক নিয়োগ কোনো সমাধান নয়। কারণ এরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদের
দোসর।
তিনি আগামী
নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন কোনোভাবেই
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ এ পদ্ধতির নির্বাচনে হোন্ডা,
গুন্ডা এবং বস্তাভর্তি টাকার কারবার হয়। পিআর পদ্ধতি প্রবর্তিত হলে এসবের কোনো সুযোগ
থাকবে না। থাকবে না নির্বাচনি সহিংসতাও। এ পদ্ধতির ভোটাররা ব্যক্তিকে নয় বরং প্রতীকে
ভোট প্রদান করবেন। সংসদে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্বও নিশ্চিত হবে। তিনি অবাধ
ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার
কার্যক্রম সম্পাদন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।