শাহবাগে সমাবেশে কর্নেল হাসিনুর রহমান
শেখ হাসিনার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতেই আয়নাঘর তৈরি হয়েছিল

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম
শেখ হাসিনার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য আয়নাঘর তৈরি হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা কর্নেল হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক।
আয়নাঘরের বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভাবুন, কতটা পৈশাচিক হতে পারেন শেখ হাসিনা। আমাদের কণ্ঠরোধ করার জন্য, ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য যে কাউকে (যত বড় ক্ষমতাশালীই হোক) বন্দি করে রাখা হত। কত লোক বন্দি ছিল আমরা জানি না, কত লোক মারা গেছে আমরা জানি না। সত্যিকার তথ্য আমরা জানি না। ভবিষ্যতে আর যাতে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা শুধু এইটাই চাই যে, ন্যায় বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। ’
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের সামনে নেক্সাস ডিফেন্স এন্ড জাস্টিজের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আয়নাঘরের প্রথম সন্ধান দেওয়া নিয়ে সেনাবাহিনীর আলোচিত এ সাবেক কর্মকর্তা বলেন, এটা কতটুকু সাহসের ব্যাপার সেটা আমি জানি না। আমার পরিবার আমার সঙ্গে ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গোয়েন্দা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে উপেক্ষা করে আমি আয়নাঘরকে প্রতিষ্ঠিত (প্রকাশ) করি। গুগল আর্থ থেকে আইডেন্টিফাই করে সরেজমিনে যাচাই করে উপস্থাপন করি। আমি গর্বিত, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া-প্রধান উপদেষ্টা আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, আয়নাঘর ছিল।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান বলেন, আমরা আর ভারতের গোলামি করব না। আমাদের যা আছে তা দিয়েই আমরা চলব। দরকার হলে পেঁয়াজ কম খাব, কিন্তু ভারতের পেঁয়াজ খাব না।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. হাসান নাসিরের সভাপতিত্বে সমাবেশের আয়োজন করে গণহত্যার ন্যায়বিচার ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা আন্দোলন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরোয়ার, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান এবং গুমের শিকার ভুক্তভোগী ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।