‘মোদির হাতে এখন আর বাংলার গদি নাই’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির হাতে এখন আর বাংলার গদি নাই।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে নরেন্দ্র মোদির আশ্রয় নিয়েছিল প্রতি বিপ্লবের আশায়। শেখ হাসিনা ভেবেছিল ১৪, ১৮ এবং ২৪ এর নির্বাচনের মত ভারত সরকার তাকে ক্ষমতায় রাখার ব্যবস্থা করবে বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্য বানানোর জন্য। কিন্তু শেখ হাসিনা বুঝতে পারে নাই আগস্টের ৫ তারিখে বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহিদ সেনা দিবসে পিলখানা গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিজয় নগর পানির ট্যাংকের সামনে থেকে পল্টন-প্রেসক্লাব এলাকা ঘুরে পল্টন মোড়ে জাগপার বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, পিলখানা গণহত্যা ভারত এবং আওয়ামী লীগের নীলনকশা। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে সেনা এবং মেধাশূন্য করার। ভিতর থেকে বারবার সাহায্যের আবেদন আসার পরেও শেখ হাসিনার নির্দেশে সাহায্য পাঠানো হয় নাই বরং বিদ্রোহের নামে গণহত্যার সুবিধার্থে বেসামরিক সন্ত্রাসী এবং ভারতীয়দের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জাগপা ১৬ বছর আগে সর্বপ্রথম ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহিদ সেনা দিবস ঘোষণা এবং পিলখানা গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচারের দাবি করেছিল। ১৬ বছর পরে হলেও আমাদের প্রথম দাবি আলোর মুখ দেখেছে, আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। সময় এসেছে বিচারের, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পিলখানা গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচারের ব্যবস্থা করুন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন ফিরোজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলম, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সহসভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলা, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ অভি, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, সহসভাপতি নাসির উদ্দীন, সাইদুজ্জামান কবির, জনি নন্দী, মো. রুবেল মিয়া প্রমূখ।