যাকাত শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সেলিম উদ্দিন
দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতভিত্তিক ইসলামী অর্থনীতির কোনো বিকল্প নেই

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫০ পিএম

দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত করতে যাকাতভিত্তিক ইসলামী অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সোমবার রাত ৯টায় রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে গুলশান থানা পূর্ব জামায়াত আয়োজিত দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ফলে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ দরিদ্র হতে দরিদ্রতর হচ্ছে। তাই সমাজে দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল করতে যাকাতভিত্তিক ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ইসলামী অর্থব্যবস্থায় একমাত্র ইনসাফভিত্তিক সমাজের ভিত তৈরি করে। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় অর্থনীতি পরিচালিত হলে গরিবরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে এবং ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধি এবং পুতঃপবিত্রকরণের জন্য যাকাত প্রদান করবে।
সে স্বপ্নের ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সাহেবে নেসাবকে যাকাত প্রদান এবং সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান সেলিম উদ্দিন।
থানা আমির মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে, সেক্রেটারি আব্দুল মোতালেব মঈনের পরিচালনায় এবং গুলশান থানা পশ্চিমের আমির মাহমুদুর রহমান আজাদের দারসুল কুরআনের মাধ্যমে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত।
সভায় বক্তব্য রাখেন-অবিভক্ত গুলশান থানার সাবেক আমির আমিনুর রহমান মনির ও গুলশান থানা পূর্বের সাবেক আমির হোসাইন বিন মানসুর।
এতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মাওলানা তোফায়েল আহমদ, আবদুল মোতালেব টিপন, মাওলানা রহমতুল্লাহ, তৌহিদুল ইসলাম রিয়াজ, হাসনাইন আমিন রাসেল ও ফারুক হোসেন প্রমুখ।