আব্দুর রহমান মূসা
দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা কায়েম করতে হবে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা বলেছেন, সুদ হচ্ছে জুলুমের হাতিয়ার। সুদের ৭০টি গোনাহর মধ্যে সবচেয়ে ছোট গুনাহ হচ্ছে আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। মূলত দেশে সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় দেশে এতো অশান্তি, দারিদ্রতা এবং অর্থনৈতিক সেক্টরে বিশৃঙ্খলা। আর এজন্য দেশের দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হচ্ছেন; আর সম্পদশালীরা গড়ছেন অঢেল বিত্ত-বৈভরের পাহাড়। তাই সুদের এ অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে দেশে সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থার বিপরীতে যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। তাহলে দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বাড্ডা উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত সমাজের বিশিষ্টজনদের নিয়ে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও যাকাত শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রহমান মূসা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রহমত মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির বার্তা নিয়ে আবার আমাদের মাঝে হাজির হচ্ছে মহিমান্বিত পবিত্র মাহে রমজান। তাই এ মাসে যথাযথভাবে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে নিজেদের গুনাহ মাফে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
সেই সঙ্গে তিনি প্রান্তিক শ্রেণির রোজাদারদের সিয়াম পালনে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সমাজের সহৃদয় ও বিত্তবান মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
থানা আমির মাওলানা কুতুবউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি ও থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, মূলত রমজান মাস আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনের মাস। এ মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল হয়েছিল বলেই এ মাসের মর্যাদা সমধিক। তাই এ মাসকে কুরআনের মাসও বলা হয়। পক্ষান্তরে মাহে রমজানে কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে এ মহাগ্রন্থের মর্যাদাও সর্বোচ্চ পর্যায়ের। হাদিসে উদ্ধৃত হয়েছে, রাসূল (সা.) বলেন, ‘সেই ব্যক্তিই হতভাগ্য যে রমজান মাস পেলো অথচ নিজের গোনাহ মাফ করে নিতে পারলো না’।
তিনি এ মোবারক মাসে নিজেদের গোনাহ মাফ করে নিয়ে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সবার প্রতি আহবান জানান।