ঢাবি শিবির নিয়ে অবাক করা তথ্য দিলেন মির্যা গালিব

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১২ পিএম

ড. মির্জা গালিব
তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতিও ছিলেন।
শনিবার সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে ঢাবি শিবিরের বর্তমান এবং সাবেক সভাপতিদের প্রশংসা করে একটি পোস্ট করেছেন। যা যুগান্তরের পাঠকদের জন্য তুলে ধারা হলো-
তার সময়ের স্মৃতিচারণ করে ড. মির্জা গালিব বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই ২০০০ সালে, আমার ডিপার্টমেন্ট ছিল কার্জন হলে, থাকতাম শহীদুল্লাহ হলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়-সাত বছর ছিল আমার জীবনের সেরা সময়। পড়াশুনা, রাজনীতি, বিতর্ক - সব মিলায়ে নস্টালজিক স্মৃতি হয়ে থাকার মত এক সময়।
তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন ‘তরুণ তুর্কি’ ছিলাম, এক দুই বছরের সিনিয়র জুনিয়র, একসঙ্গে বন্ধুত্ব আর শিবির করা। একসঙ্গে শিবিরের সদস্য হইছিলাম, বুলবুল ভাই তখন কেন্দ্রীয় সভাপতি। আমাদের সেই বন্ধুত্ব এখনো আছে। অনেকদিন পরে কথা হইলেও একজনের মনের ভাষা আরেকজনের পড়তে সময় লাগে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সময়ে শিবিরের জেনারেশানটা অসাধারণ ছিল। তাদের অনেকেই এখন উদীয়মান শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, চিকিৎসাবিদ, আলেম।
মির্যা গালিব বলেন, ২০০৯ সালে আমি কানাডায় চলে যাই পিএইচডি করার জন্য। গত ১৫ বছর ধরে দেশের বাইরে। এই ১৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সঙ্গে আমার সব সময় যোগাযোগ ছিল। এই সময়ের সকল সভাপতি সেক্রেটারিকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। যতবার দেশে গেছি, শিবিরের সদস্য বৈঠকে গেছি আমি। সাধারণত আগের জেনারেশানের লোকেরা পরের জেনারেশেনে যোগ্যতার ঘাটতি দেখে, মনে করে সব কিছু নষ্ট হয়ে যাইতেছে। কিন্তু আমি যতবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য বৈঠকে গেছি, আমার মন ভাল হয়ে গেছে। যে আলোচনা তারা করে, যেই প্রশ্ন তারা তুলে, দেশ-রাজনীতি-ইসলাম নিয়ে তাদের যে উপলব্ধি, আমার কাছে মনে হইছে তারা ক্রমাগত উন্নতি করে গেছে।
ঢাবি শিবিরের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই উন্নতির পিনাকল হইল জুলাই অভ্যুত্থানে আপামর ছাত্রসমাজের সাথে দাঁড়িয়ে সাদিক-ফরহাদের কন্ট্রিবিউট করা। জুনায়েদ, রিফাত, শরফুদ্দীন, সিবগাতুল্লাহসহ ওদের যে টিম এইটা এক কথায় অসাধারণ। সততা, যোগ্যতা, ভিশন মিলায়ে আমাদের সময়ের চাইতে অনেকগুণ বেটার। আমরা আমাদের ছাত্রজীবন থেকে যেই স্বপ্ন দেখতাম, এই দেশে মানুষের অধিকারের পক্ষে একটা সুস্থ রাজনীতি, ইনসাফের রাজনীতি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির রাজনীতি, ইসলামের নীতি আর শিক্ষার আলোকে সমাজ আর রাষ্ট্রকে আলোকিত করার রাজনীতি-আমার বিশ্বাস এই নতুন জেনারেশান, এই তরুণ নেতৃত্ব সেই মঞ্জিলে আমাদের পৌছে দিবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, কৈশোরের আর তারুণ্যের ভালবাসা আর স্বপ্ন যখন না হারায়, তখন এক অনির্বচনীয় আনন্দ হয়। সাদিক-ফরহাদ-জুনায়েদ, আমাদের স্বপ্নগুলো বাঁচিয়ে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা আর ভালবাসা। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ তোমাদের সামনের দিনগুলোতে দেশের, মানুষের আর উম্মাহর কাজে লাগবার তৌফিক দিন।