নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক
আ.লীগ ও সহযোগীদের ভোটে অযোগ্য করার দাবি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের অযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।
একইসঙ্গে তারা জাতীয় সংসদের আগে অল্প পরিসরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে দলটির নেতারা এসব দাবি জানান।
বৈঠক শেষে তাদের দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরু ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
নুরু বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ইতিমধ্যে এক ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যমত তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকেরও ঐক্যমত হয়েছে যে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সেজন্য তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। একই দাবি নির্বাচন কমিশনের কাছেও জানিয়েছি।
এছাড়া, নিবন্ধিত ভূঁইফোড় দলগুলোর হালনাগাদ তথ্য নিয়ে ওই দলগুলোর নিবন্ধন স্থগিত করতে পারে ইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তবে ছোট পরিসরে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হতে পারে। কেননা, জন্ম নিবন্ধনের মতো সেবা মানুষ পাচ্ছে না। একজন আমলা আর কতটুকু করতে পারে। অন্তত সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলাগুলোর নির্বাচন জাতীয় সংসদের আগে হতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য একটা দক্ষ প্রশাসন দরকার। গত ১৬ বছরের যে প্রশাসন কারচুপির নির্বাচন করেছে, তাদের দিয়ে কী করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আগে বলতো আওয়ামী চেতনার উদ্বুদ্ধ। এখন কেউ বলছে গণঅধিকার পরিষদের লোক, কেউ বলে বিএনপির লোক, কেউ বলে জামায়াতের লোক। আবার কেউ বলে আমরা ছাত্রদের প্রতিনিধি। কাজেই এখনকার প্রশাসনের মধ্যেও যদি এই রাজনৈতিক মনোভাব থাকে, তাহলে তো নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। তাই পরিষ্কারভাবে আমরা বলেছি যে, নির্বাচনে যে দায়িত্ব পালন করবেন-রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ অন্যরা, তারা যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকে; সেটা যেন কমিশন আগেভাগেই নিশ্চিত করেন।
ছাত্রদের দলের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ জোট বাঁধবে কী না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আগামী নির্বাচনে আমরা দলীয় মার্কায় অংশ নেব। একটা আলোচনা হচ্ছে সমমনা দল আমাদের নেতৃত্বে কাজ করবে, আগামীতে তাদের নিয়ে জোট হতে পারে। আমরা কারও নেতৃত্বে কোনো জোটে যাচ্ছি না-এটা পরিষ্কার।