আ.লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্নে আপস নেই: নুরুল হক নুর

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅধিকার পরিষদ কোন আপস করবে না। এ জাতির দুভার্গ্য যে তার সাহসী সন্তানেরা রাজপথে লড়াই করে নতুন ইতিহাস তৈরি করে। সুবিধা ভোগ করে গুটিকয়েক মানুষ। এবার আর আমরা তা হতে দেবো না।
শুক্রবার গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিল করে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর। বিক্ষোভ-মিছিলের পর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এ কথা বলেন।
এসময় নুরুল হক নুর বলেন, ‘ভোট ও নির্বাচন নিয়ে অনেকের যত কথা শোনা যায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে তত আওয়াজ শোনা যায় না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ ডিসিদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ১২-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের আমলে ১৬ বছরের লুটপাটের বিচারের দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ চলবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এসময় প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আমরা অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানাই। আর গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস পরও কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে রাজপথে নামতে হবে? এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে, যারা গ্রেফতার হচ্ছে তাদের মুক্তি ও জামিনের জন্য গণঅভ্যুত্থানের শরিকদের অনেকেই সুপারিশ করছে। দলভারী করতে দলে বেড়াচ্ছে। স্পষ্টত গত ৬ মাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন আকাঙ্ক্ষা পূরণে উপদেষ্টা পরিষদের পুর্নগঠন করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান প্রকৃত অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পূর্ণগঠন করে সংস্কারের প্রশ্নেঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দলের সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিলো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু ৬ মাসেও তারা আ.লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আ.লীগকে নিষিদ্ধ না করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুলিশ ও আ.লীগ একসাথে গণহত্যা চালিয়েছে। এই রিপোর্টের পর আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা ও গণহত্যার বিচার করার গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছে। আমরা গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জেলার ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর গণহত্যার বিচারে স্মারক লিপি প্রদান করেছি। স্পষ্ট কথা, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাও করা হবে।’
বিক্ষোভ ও গণমিছিলে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীন, সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম ও ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ নেওয়াজ খান বাপ্পী প্রমুখ।