দেশের প্রযুক্তি খাত ভারত ও শেখ পরিবারের কাছে জিম্মি: আমিনুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও শেখ পরিবারের কাছে দেশের প্রযুক্তি খাত জিম্মি হয়ে রয়েছে। তাদের সামগ্রিক একটি সিন্ডিকেট এই প্রযুক্তি খাতকে নিয়ন্ত্রণ করে চলছে। এই খাতকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে না পারলে দেশের সকল তথ্য উপাত্ত রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর হাতিরঝিল মধুবাগ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তরের হাতিরঝিল থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার পুলিশ বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তারা পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে একটি ধ্বংসস্তূপের আস্তাকুঁড়ে ফেলে রেখে গেছে। সেই আস্তাকুঁড় থেকে পুলিশ এখন চেষ্টা করছে কীভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়া যায়, কীভাবে নতুনভাবে পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যেকটি স্তরকে সাজানো যায়। যাতে তারা দেশের মানুষের কাছে একটি আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারেন।
আমিনুল হক বলেন, গত ৫ আগস্টের পর আজকে দীর্ঘ ৬ মাস হতে চলেছে- এখনও পর্যন্ত পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থিতিশীলতা আসেনি। কারণ আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা তারা রাষ্ট্রের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে বহাল তবিয়তে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি নতুন আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে চায়। যেখানে মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে। নতুন দেশ গড়তে এখন নানা প্রতিকূলতা সৃষ্টির মাধ্যমে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য চারপাশে তারা নানান ষড়যন্ত্র চলছে। তাই সবাইকে সতর্ক হতে হবে। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলেই ভবিষ্যৎ আধুনিক বাংলাদেশ নির্মিত হবে। যতই অনুপ্রবেশ এর চেষ্টা করা হউক না কেনো, বিএনপিতে নব্য বিএনপির কোন ঠাঁই হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন আমিনুল হক।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য তারেক রহমানে নেতৃত্বে বিএনপি লড়াই করেছে। হাসিনার পতনে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির বহু কর্মী প্রাণ দিয়েছে। গত ১৭ বছরে হাসিনা সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের কথা কখনো ভুলা যাবে না বলে তিনি নেতাকর্মীদের স্মরণ রাখতে বলেন।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপি গণ মানুষের দল- তাই জনগণ কী চায় সেটা আগে বুঝতে হবে। তারেক রহমানের ৩১ দফা ধ্বংস হওয়া দেশকে ঢেলে সাজানোর রূপরেখা। আর এই রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সারাদেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ৩১ দফার বার্তা পৌঁছাতে হবে।
সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই তা মেনে নিবে না। কারণ এদেশের জনগণ গত ১৫ বছর যাবৎ ভোট দিতে পার নাই।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে দেশে অতি দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।
হাতিরঝিল থানা বিএনপি আহ্বায়ক নাজমুল হক মাসুমের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, মহানগর বিএনপি সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, হাজী মো. ইউসুফ, আফাজ উদ্দিন, মো. শাহ আলম, মহানগর সদস্য মনিরুল আলম রাহিমী, ইব্রাহিম খলিল, নুরুল হুদা ভুঁইয়া নূরু, এম এস আহমাদ আলী, কৃষকদলের মহানগর আহ্বায়ক আরশাদুল আরিস ডল, শ্রমিক দলের মহানগর আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম রাজা, জাসাস ঢাকা মহানগর সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন আনু।
এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা দলের রোকেয়া সুলতানা তামান্না, মহানগর উত্তর ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মীম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন,
হাতিরঝিল থানা বিএনপি যুগ্মআহবায়ক আশরাফ হোসেন চৌধুরী অপু, সফি উদ্দিন শাহীন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল জীবন, ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি নিজাম উদ্দিন টিপু, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান রতন, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, তুরাগ থানা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলী, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি যুগ্ম-আহবায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, থানা বিএনপি সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহ-ভাপতি মো. ওসমান গনি সেন্টু প্রমুখ।