Logo
Logo
×

রাজনীতি

বাংলাদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম

বাংলাদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের

বাংলাদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ট্রান্সন্যাশনাল ইসলাম বিদ্বেষীদের হয়ে সর্বাত্মক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে দাবি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

দলটির দাবি, সোমবার অমর একুশে বইমেলায় দুজন ছাত্রকে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মারধর করে উলটা জঙ্গিবাদের অপবাদ ছড়িয়ে মুসলমানদের বিমানবিকীকরণের অপরাধ সংঘটন করা হয়েছে। যার সঙ্গে ট্রান্সন্যাশনাল ইসলাম বিদ্বেষীদের বয়ান ও অপপ্রচারের হুবহু মিল আছে। ফলে বইমেলার ঘটনাকে বাংলাদেশের মুসলমানদের হত্যাযোগ্য করার ষড়যন্ত্র গণ্য করা সময়ের দাবি। 

মঙ্গলবার জুলাই বিপ্লবে সম্পৃক্ত ছাত্রজনতা গঠিত প্রথম দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গালিব ইহসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, অমর একুশে বইমেলার ১২৮ নম্বর স্টলে সব্যসাচী প্রকাশনী কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী ও জুলাই গণহত্যা সমর্থক তসলিমা নাসরিনের ‘চুম্বন’ নামে একটি বই বিক্রি করে আসছিল। সচেতন তরুণ  নাগরিকরা এটি জানতে পেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বইমেলার মাঠের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার ওসি সব্যসাচী প্রকাশনীর প্রকাশক মেহরান সানজানাকে তসলিমা নাসরিনের বই সরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু মেহরান সানজানা নিজের অপরাধকে আড়াল করতে ফেসবুকে মতলবি প্রচারণা চালান যে সব্যসাচী প্রকাশনীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি স্টল থেকে তসলিমা নাসরিনের বইও সরাননি।

ফলে সোমবার সন্ধ্যায় কয়েকজন ছাত্র মেলায় গিয়ে দেখতে পায় সব্যসাচী প্রকাশনী তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করছে। তখন তারা জিজ্ঞেস করেন, ‘একজন স্বঘোষিত নাস্তিক ও জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী, নিয়মিত শহিদ ও উপদেষ্টাদের নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্যকারীর বই কেন আপনাদের স্টলে জায়গা পায়?’ এর জবাবে সব্যসাচীর প্রকাশনীর স্টলে থাকা মেহরান সানজানার স্বামী শতাব্দী ভব ছাত্রদেরকে তুই তুকারি সম্বোধন শুরু করে এবং বলে তসলিমার পক্ষে আমি একাই লড়ে যাব। এক পর্যায়ে সে দুজন মাদ্রাসা ছাত্রকে কিল ঘুষিও দেয়। সে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রদের জঙ্গি ও মৌলবাদী সম্বোধন করে। উপস্থিত ছাত্রজনতা শতাব্দী ভবের ঔদ্ধত্যের জবাবে প্রতিবাদী হয়ে উঠলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং বিতর্কিত ১২৮ নম্বর স্টল বন্ধ রাখে।

বিবৃতিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ বলেছে, মুসলমানদেরকে উসকানি দিয়ে, উত্তেজিত করে উলটো তাদেরকে বিমানবিকীকরণ করে হত্যাযোগ্য করা আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপকভাবে পরিচিত ইসলাম বিদ্বেষী বর্ণবাদের বহুল ব্যবহৃত একটি ধরন। সোমবার বইমেলার ঘটনায় একই ধরনের বর্ণবাদ চর্চা করা হয়েছে। একদিকে প্রচার করা হয়েছে ‘তৌহিদী জনতা বইমেলায় হামলা করেছে’, আরেকদিকে ভারতের কুখ্যাত মুসলিম বিদ্বেষী পত্রিকা ‘আনন্দবাজার’ এ সব্যসাচী প্রকাশনীর প্রকাশক মেহরান সানজানার বরাতে প্রচার করেছে ‘বইমেলা জঙ্গিদের’। ফলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে যে মুসলমানদের বিমানবিকীকরণের মধ্য দিয়ে হত্যাযোগ্য করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাংলাদেশেও ঘনীভূত হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন হতে হবে। আর অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো ঘটনার বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে জাতিকে সঠিক তথ্য অবহিত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম